টাঙ্গাইলে যৌতুক না পাওয়ায় স্ত্রীকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার দায়ে এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল।
ট্রাইব্যুনালের বিচারক খালেদা ইয়াসমিন মঙ্গলবার দুপুরে আসামির উপস্থিতিতে রায় ঘোষণা করেন।
সাজাপ্রাপ্ত ৩৫ বছরের সুজন মিয়ার বাড়ি টাঙ্গাইল পৌর শহরের আদি টাঙ্গাইল এলাকায়।
নিউজবাংলাকে তথ্য নিশ্চিত করেন টাঙ্গাইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের সহকারী আইনজীবী মোহাম্মদ আব্দুল কুদ্দুস।
এজাহারের বরাতে তিনি জানান, প্রায় ১৪ বছর আগে সুজন মিয়ার সঙ্গে আদি টাঙ্গাইল দাসপাড়ার (মাঝিপাড়া) ২৭ বছরের শিউলী আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর দেড় লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে সুজন বিভিন্ন সময় শিউলীকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতেন।
এর জেরে ২০১৪ সালের ১৭ জুন বেলা ১১টার দিকে সুজন ঘরের দরজা বন্ধ করে শিউলীকে মারধর করেন। পরে পরিকল্পিতভাবে সেভেন আপের বোতল ভর্তি কেরোসিন তেল স্ত্রীর শরীরে দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেন সুজন।
এ সময় ডাক-চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে শিউলীকে উদ্ধার করে প্রথমে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। ঘটনার পরের দিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিউলী আক্তারের মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় শিউলীর ভাই শিবলু মিয়া ১৮ জুন টাঙ্গাইল সদর থানায় সুজনকে আসামি করে মামলা করেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনাল রায় দেয়।