কুড়িগ্রামের উলিপুর পৌরসভায় আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে নিম্নমানের পচা ও দুর্গন্ধযুক্ত ভিজিএফ-এর চাল সরবরাহ করার অভিযোগ উঠেছে।
উলিপুর পৌরসভার বরাদ্দ করা জনপ্রতি ১০ কেজি করে ৩ হাজার ৮১ জন দুস্থ ও দরিদ্র পরিবারের জন্য ৩০৮ টন চাল সোমবার সরবরাহ করা হয়। চালগুলো নষ্ট হওয়ার বিষয়টি উলিপুর পৌর মেয়রের নজরে আসলে সেগুলো তিনি বিতরণ আটক দেন। নিম্নমানের চাল সরবরাহের ঘটনা ফাঁস হলে সাধারণ মানুষের মধ্যে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়।
এই বিষয়ে পৌর মেয়র মামুন সরকার মিঠু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ উঠেছে, উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভাসহ ৮৬ হাজার ৩১৫ জন দুস্থ ও হতদরিদ্র পরিবারের জন্য ৮ হাজার ৬৩ টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক খাদ্য গুদামের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে অভিযোগ করেন, ‘সরকারিভাবে কেনা ধান স্থানীয় মিলারদের মাধ্যমে ছাঁটাই করে চাল সংগ্রহ করার নিয়ম থাকলেও তা করেননি উলিপুর খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা শাহিনুর রহমান। তিনি একটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কাগজ-কলমে তা দেখিয়ে বাইরে থেকে সরকারি দামের চেয়ে কম দামে চাল সংগ্রহ করে কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। এর আগেও তিনি এমন অনিয়ম করলেও মোটা অংকের ঘুষ দিয়ে পার পেয়ে যান। এতে করে একাধিক অনিয়মের তথ্য কর্তৃপক্ষের জানা থাকলেও তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।’
উলিপুর পৌরসভার মেয়র মামুন সরকার বলেন, ‘ভিজিএফ এর চাল নিম্নমানের হওয়ায় ৩০৮ টন চাল আটক করেছি। বরাদ্দকৃত চাল মোটামুটি সব বস্তার অবস্থা একই। এই বিষয়ে আমি ইউএনও বরাবর অভিযোগও করেছি।’
নষ্ট চালের বিষয়ে উলিপুর খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা শাহিনুর রহমান বলেন, ‘দুই-একটা বস্তার চালে সমস্যা হতে পারে। তবে এসব নষ্ট চাল আমি পরিবর্তন করে দেব।’
ছাঁটাই করা চালের মধ্য পচা ও দুর্গন্ধযুক্ত চাল কীভাবে এল এমন প্রশ্নে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
কুড়িগ্রাম জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আবু বকর বলেন, ‘বিষয়টি আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে জেনেছি। ঘটনাস্থলে আমাদের টেকনিক্যাল টিম পাঠানো হয়েছে। ঘটনার সত্যতা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’