নোয়াখালীর সুবর্ণচরে ৭২ বছর বয়সী এক ব্যক্তির পায়ুপথে টর্চলাইট ঢুকিয়ে নির্যাতন মামলার আরেক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সুবর্ণচর উপজেলার চর ওয়াপদা ইউনিয়নের চর বৈশাখী গ্রাম থেকে সোমবার গভীর রাতে আবদুল গণিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
৫৫ বছর বয়সী গণির বাড়ি চর বৈশাখী গ্রামে। তিনি শেখ নাছির উদ্দিন মাইজভাণ্ডারী নির্যাতন মামলার ৮ নম্বর আসামি।
চরজব্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেবপ্রিয় দাশ নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, সোমবার গভীর রাতে গণিকে তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে তাকে আদালতে তোলা হবে। এই মামলার প্রধান আসামি চর ওয়াপদা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি আবুল হোসেন সানাজকে সোমবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ওসি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত এই মামলার দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদেরও ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে।’
নাছিরের ছেলে ইউপি সদস্য মো. রিপন গত রোববার রাতে যুবলীগ নেতা সানাজ ও ইউপি সদস্য তানভীরসহ আটজনের নামে এবং অজ্ঞাতপরিচয় আটজনকে আসামি করে মামলা করেন।
মামলায় বলা হয়, নাছির এলাকায় একটি মসজিদ নির্মাণ করতে গেলে সানাজ ও তানভীর চাঁদা দাবি করেন। তিনি চাঁদা দিতে না চাইলে তার ওপর একাধিকবার হামলা চালানো হয়। কিছুদিন মসজিদের কাজ বন্ধও রাখা হয়।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবর অভিযোগ এবং আদালতে মামলা করেন তিনি।
এরপর গত শুক্রবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে নাছির বাড়ি ফিরছিলেন। পথে হাট-সোনাপুর সড়কের মহিলা মাদ্রাসার পাশে সানাজের নেতৃত্বে ৮ থেকে ১০ জন তার মুখে গামছা প্যাঁচিয়ে মাটিতে ফেলে দেয়।
এরপর তার পায়ুপথে টর্চলাইট ঢুকিয়ে দেয়। নাছির জ্ঞান হারিয়ে ফেললে তারা তাকে ঝোপে ফেলে রেখে যায়। জ্ঞান ফেরার পর তার চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন তাকে বাড়িতে পৌঁছে দেয়।
শনিবার সকালে নাছিরকে ভর্তি করা হয় নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে। প্রায় দেড় ঘণ্টার অস্ত্রোপচারের পর রোববার বেলা ২টার দিকে বৃদ্ধের পায়ুপথ থেকে টর্চলাইটটি বের করা হয়।