লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে এক গৃহবধূকে গাছে বেঁধে নির্যাতন ও তার বসতভিটায় আগুন দেয়ার অভিযোগ উঠেছে যুবলীগ নেতা আহসান হাবিব মিলনের বিরুদ্ধে।
সোমবার রাতে হাতীবান্ধা থানার ওসি এরশাদুল আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, এ ঘটনায় সোমবার দুপুরে হাতীবান্ধা থানায় ১০ জনের নাম উল্লেখ করে একটি অভিযোগ দেন গৃহবধূর স্বামী জিয়ারুল হক। গত ২ জুলাই সকালে উপজেলার বড়খাতা ইউনিয়নের তহশিলদার পাড়া এলাকায় ঘটনাটি ঘটে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
অভিযোগ থেকে জানা গেছে, জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে জিয়ারুল হকের সঙ্গে তার ভাই পিন্টু ও মিলনের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত শনিবার জিয়ারুলের বাড়িতে তারা কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে হামলা চালান।
এ সময় জিয়ারুলের স্ত্রী রেহেনা বেগম বাঁধা দিলে তাকে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধর করে বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় যুবলীগ নেতা মিলন। মাকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে রেহেনার ছেলে ও মেয়েকে মারধর করা হয়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। বর্তমানে রেহেনা ওই হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন।
এ বিষয়ে রেহেনা বেগম বলেন, ‘দেবর মিলন বাড়িতে এসে ঘরে আগুন লাগিয়ে দেয়। এ সময় আমি বাধা দিলে মিলনের হাতে থাকা চাকু দিয়ে আমার হাতে ও মাথায় কোপ মারে। এ সময় আমার ভাশুর, দেবর, ননদ ও ননদের ছেলে মিলে আমাকে গাছের সঙ্গে দড়ি দিয়ে বেঁধে পেটাতে থাকে। পরে আমার ছেলে মোজাহিদ ও মেয়ে জুবাইদাকেও মারধর করে।
অভিযোগের বিষয়ে বড়খাতা ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব মিলন বলেন, ‘তাকে কোনো মারধর করা হয়নি। এটা আমাদের পারিবারিক বিষয়।’
হাতীবান্ধা থানার অফিসার ইনচার্জ এরশাদুল আলম বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’