বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ধরা-ছোঁয়ার বাইরে আ. লীগের সম্মেলনে হামলাকারীরা

  •    
  • ৪ জুলাই, ২০২২ ২৩:৪০

আসামি গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে ওসি বলেন, ‘তদন্ত চলছে। মামলার পর এজাহারনামীয় চারজনসহ মোট পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছি। তারা কারাগারে আছে। অজ্ঞাতপরিচয় আসামিদের শনাক্তসহ বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।’

গাইবান্ধায় ইমাম-ওলামা পরিষদের মিছিল থেকে পৌর আওয়ামী লীগের সম্মেলন মঞ্চে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনায় আর কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। দেড় শতাধিক ব্যক্তির নামে মামলা হলেও, ঘটনার ২৬ দিন পেরুলেও এজহারনামীয় চার আসামিসহ মাত্র পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করতে পেরেছে পুলিশ।

ভারতের কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন বিজেপির মুখপাত্র নূপুর শর্মা এক টেলিভিশন বিতর্কে মহানবীকে (সা.) নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেন। প্রতিবাদে দেশের বিভিন্ন জেলার পাশাপাশি গাইবান্ধাতে গত ১০ জুন বিক্ষোভ হয়। এদিন জুমার নামাজ শেষে প্রতিবাদে নামে কয়েকটি সংগঠন। সে সময় এই হামলার ঘটনা ঘটে।

ঘটনার দুই দিন পর, গত ১২ জুন পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়াজেদ হাসান শাওন আট জনের নাম উল্লেখ করে দেড় শতাধিক ব্যক্তির নামে মামলা করেন।

গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদুর রহমান বলেন, ‘জেলা ইমাম-ওলামা পরিষদ, ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনসহ কয়েকটি ইসলামি দলের ব্যানারে শত শত নেতাকর্মী ওই দিন বিক্ষোভে অংশ নেন। মিছিলটি জেলা শহরের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ থেকে বের হয়ে কাচারিবাজার মসজিদের সামনে শেষ হয়। সেখানে তারা সমাবেশ করে।

‘এদিন সমাবেশস্থলের পাশেই শহীদ মিনার চত্বরে পৌর আওয়ামী লীগের পূর্বনির্ধারিত সম্মেলন চলছিল। বিক্ষোভকারীদের কয়েকজন সম্মেলনস্থলে গিয়ে মাইক বন্ধ করতে বলেন। এক পর্যায়ে তারা সম্মেলনের মঞ্চে ওঠে মাইক, চেয়ার, টেবিল ভাঙচুর শুরু করে, ছিঁড়ে ফেলে ব্যানার-ফেস্টুন।’

আসামি গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে ওসি বলেন, ‘তদন্ত চলছে। মামলার পর এজাহারনামীয় চারজনসহ মোট পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছি। তারা কারাগারে আছে। অজ্ঞাতপরিচয় আসামিদের শনাক্তসহ বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।’

রাষ্ট্রপক্ষের সহকারী আইনজীবী সিদ্দিকুর ইসলাম অবশ্য হামলার ঘটনাকে পূর্ব পরিকল্পিত বলছেন। তার ভাষ্য, ‘ঘটনাটি ছিল পূর্বপরিকল্পিত। এই হামলার ইন্ধনদাতা হিসেবে জামায়াত-বিএনপিসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীর সংশ্লিষ্টতা থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ হামলার ঘটনার ভিডিও রয়েছে।’

আসামিপক্ষের আইনজীবী সাবেক শহর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নিরঞ্জন কুমার ঘোষ বলেন, ‘মামলাটি আদালতে বিচারাধীন। চলছে পুলিশের তদন্তও। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে প্রকৃত রহস্য উন্মোচন হবে।’

এ বিষয়ে জেলা ইমাম-ওলামা পরিষদ ও ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, তারা হামলা কিংবা মামলার বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি।

এ বিভাগের আরো খবর