বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চাহিদার অর্ধেক সরবরাহে বারবার বিদ্যুৎ যাচ্ছে বগুড়ায়

  •    
  • ৪ জুলাই, ২০২২ ২১:৪৪

‘আমাদের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন, গ্যাসস্বল্পতার কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। এতে অনেক জায়গাতেই বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত হচ্ছে। গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হলে বিদ্যুৎ উৎপাদন পুনরায় স্বাভাবিক হবে। যুদ্ধের প্রভাবে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির উচ্চমূল্য ও সরবরাহ অন্য সব দেশের মতো আমাদেরও সমস্যায় ফেলেছে।’

বগুড়ায় কয়েক দিন ধরে লোডশেডিংয়ের মাত্রা বেড়েছে। দিনে-রাতে মিলে ১০ থেকে ১৫ বার করে বিদ্যুৎ সরবরাহ বিচ্ছিন্ন হচ্ছে।

এমন লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে বগুড়ার জনজীবন। এতে অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সরকারের উন্নয়ন নিয়ে।

বিদ্যুৎ বিভাগ জানিয়েছে, চাহিদার থেকে জোগান অর্ধেক কমে আসায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারছে না তারা।

বগুড়ার শহরে চকফরিদ এলাকার বাসিন্দা ও পেশায় শিক্ষক তাজুল ইসলাম জানান, ‘ঈদের ছুটিতে এসেই এই লোডশেডিংয়ের ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। আমাদের তো সমস্যা নয়। সমস্যা আমার ১১ মাসের বাচ্চাকে নিয়ে। এই গরমে বাচ্চা কষ্ট সহ্য করতে পারছে না।’

লোডশেডিংয়ে বিরক্ত প্রকাশ করে চেলোপাড়ার বাসিন্দা ও সাংবাদিক সঞ্জু রায় বলেন, ‘বাড়িতে অসুস্থ মানুষ এবং শিশুরা খুব কষ্ট পাচ্ছে বিদ্যুৎ এভাবে যাওয়া-আসার কারণে। দিনে গরমের কষ্ট লাঘব করা গেলেও রাতে বেশি যন্ত্রণার শিকার হচ্ছেন তারা।’

একই এলাকার বাসিন্দা শাহজাহান আলী বলেন, ‘এমনিতেই দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন দশা। আমার যা আয় তা দিয়ে সংসার চালানোই কঠিন। এর মধ্যে আমার ছেলে বলছে, তাকে একটি চার্জার ফ্যান কিনে দিতে। কিন্তু আমার সামর্থ্য না থাকার কারণে তাকে চার্জার ফ্যান কিনে দিতে পারলাম না। এটি খুব কষ্টের বিষয়।

বগুড়ার হাকির মোড়ে বসবাস করেন অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী খোকন হাসান। তিনি বলেন, ‘আগে বিদ্যুতের এমন সমস্যা ছিল না। হঠাৎ কদিন ধরে ২৪ ঘণ্টায় অন্তত ৬ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকছে না। এর ফলে পড়াশোনা করা যাচ্ছে। মোমবাতি জ্বালিয়ে গরমে পড়াশোনা করা অনেক কঠিন।’

হঠাৎ বিদ্যুতের এমন লোডশেডিংয়ের কারণ জানিয়েছে নর্দান ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেডের (নেসকো) বগুড়া দপ্তর। এই দপ্তর বলছে, বগুড়ায় তিনটি বিতরণ বিভাগ নিয়ে প্রতিদিন বিদ্যুতের চাহিদা ৮২ মেগাওয়াট। কিন্তু এখন সরবরাহ করা হচ্ছে ৪২ মেগাওয়াট।

এ তথ্য নিশ্চিত করেন বগুড়া নেসকো অঞ্চল-২-এর নির্বাহী পরিচালক ওমর ফারুক। তিনি বলেন, ‘আমাদের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন, গ্যাসস্বল্পতার কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। এতে অনেক জায়গাতেই বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত হচ্ছে। গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হলে বিদ্যুৎ উৎপাদন পুনরায় স্বাভাবিক হবে।

‘যুদ্ধের প্রভাবে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির উচ্চমূল্য ও সরবরাহ অন্য সব দেশের মতো আমাদেরও সমস্যায় ফেলেছে।’

এ বিভাগের আরো খবর