গাজীপুরের টঙ্গীতে পারিবারিক কলহের জেরে প্রথম স্ত্রীকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় স্বামী কবির মিয়া ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী ফাতেমা আক্তারকে আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার সকাল ৯টায় টঙ্গীর তিস্তার গেট এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করেছে পুলিশ। ২০ বছর বয়সী নিহত মেঘলা আক্তার ঢাকার তেজগাঁও নাখালপাড়া এলাকার অপু মিয়ার মেয়ে।
আটকরা হলেন কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ থানার সুধী গ্রামের বাদশা মিয়ার ছেলে ২৪ বছর বয়সী কবির মিয়া ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী ২০ বছর বয়সী ফাতেমা আক্তার।
টঙ্গী পূর্ব থানার এসআই শেখ সজল নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সজল জানান, অভিযুক্ত কবির দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে টঙ্গীর তিস্তার গেট এলাকার মোহাম্মদ আলমের বাড়িতে ভাড়া থেকে স্থানীয় পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। দুদিন আগে প্রথম স্ত্রী মেঘলা তার ছয় মাসের কন্যা তাবাসসুমকে নিয়ে সেই বাড়িতে যান।
রোববার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে প্রথম স্ত্রী মেঘলার সঙ্গে পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কবিরের ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে কবির ঘরে থাকা হাতুড়ি দিয়ে মেঘলার মাথাসহ বিভিন্ন স্থানে আঘাত করেন।
সোমবার ভোর ৬টার দিকে বাড়ির মালিক পাপিয়া আক্তার খোঁজ নিতে গেলে রুমের ভেতরে ঢুকতে না দেয়ায় তার সন্দেহ হয়। পরে তিনি আশপাশের লোকজনকে খবর দেন। একপর্যায়ে ওই ঘরে প্রবেশ করে অচেতন অবস্থায় মেঘলাকে পড়ে থাকতে দেখেন তারা। কবির না থাকলেও ওই ঘরে তখন তার দ্বিতীয় স্ত্রী ফাতেমা অবস্থান করছিলেন। এ সময় স্থানীয়রা বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে দ্বিতীয় স্ত্রী ফাতেমাকে অবরুদ্ধ করে রাখে।
এসআই সজল বলেন, ‘সকালে মেঘলার স্বামী নিজে টঙ্গী পূর্ব থানায় এসে জানান, তার প্রথম স্ত্রী নেশাগ্রস্ত অবস্থায় রুমের ভেতর অচেতন হয়ে পড়ে আছে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মেঘলার মরদেহ এবং হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত হাতুড়িটি উদ্ধার করে।’
টঙ্গী পূর্ব থানার ওসি জাবেদ মাসুদ জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কবির তার প্রথম স্ত্রীকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ঘাতক স্বামী ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী ফাতেমাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে জেলহাজতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।