ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার একটি ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত নারী মেম্বারকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে।
সাতজনকে আসামি করে রোববার রাতে বোয়ালমারী থানায় মামলা করেছেন ওই নারী জনপ্রতিনিধি।
বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আব্দুল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘রোববার সকালে ওই নারী থানায় অভিযোগ করেন। দুপুরে মূল অভিযুক্ত মাহাবুব আলমকে আটক করা হয়। রাতে হওয়া মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
‘সোমবার দুপুরে আসামিকে পাঠানো হয়েছে ফরিদপুর জজ কোর্টে। আদালতে আসামি ঘটনার দায় স্বীকার না করলে রিমান্ডের আবেদন করা হবে। এ মামলার অন্য আসামিদের ধরতে অভিযান চলছে।’
এজাহারে বলা হয়েছে, আলফাডাঙ্গা উপজেলার একটি ইউনিয়নের ওই নারী মেম্বার শনিবার বিকেলে বোয়ালমারী উপজেলার অমৃতনগর গ্রামে তার এক আত্মীয়র জন্য পাত্রী দেখতে যান। সেখান থেকে একাই বাড়ি ফেরার পথে অমৃতনগর বটতলা এলাকায় এসে তিনি পথ হারান। এ সময় গন্তব্যে পৌঁছাতে সেখানে আড্ডায় থাকা কয়েকজন যুবকের সহায়তা চান তিনি।
পথ দেখানোর কথা বলে তারা ওই নারী মেম্বারকে পাশের একটি স্থানে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে ফেলে যায়। পরে ওই নারী মেম্বার কোনো রকমে ওই স্থান থেকে রাস্তায় এলে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে।
ওসি মুহাম্মদ আব্দুল জানান, ওই নারী মেম্বারকে রোববার রাতেই শারীরিক পরীক্ষার জন্য ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। তবে সেই পরীক্ষা এখনও শেষ হয়নি।
মূল অভিযুক্ত বোয়ালমারী পৌর এলাকার মাহাবুব পেশায় মাইক্রোবাসচালক বলেও জানান ওসি।
ফরিদপুরের সহকারী পুলিশ সুপার (মধুখালী-বোয়ালমারী-আলফাডাঙ্গা সার্কেল) সুমন কর বলেন, ‘এ ঘটনায় বোয়ালমারী থানায় মামলা হয়েছে। আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে। আশা করছি, খুব দ্রুত আমরা সব আসামিকে আইনের আওতায় আনতে পারব।’