ছয় মাস বয়সী মেয়ে জুনাইরাকে নিয়ে পঞ্চগড়গামী একতা এক্সপ্রেসের ‘ট’ বগিতে উঠেছিলেন রুবিনা আক্তার। প্রচণ্ড গরম সহ্য করেও পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে যাবেন বাড়িতে; কিন্তু তার আর গন্তব্যে যাওয়া হলো না।
কারণ কমলাপুর স্টেশনের এ ট্রেনটি প্ল্যাটফর্ম ছেড়ে গেছে তাদের বহন করা বগিটি রেখে। দুধের শিশুকে নিয়ে তিনি কী করবেন বুঝতে পারছেন না। রুবিনা আক্তার বলেন, ‘কর্তৃপক্ষ টাকা ফেরত দিতে চাচ্ছে। কিন্তু আমি টাকা নিয়ে কী করব। বাচ্চা মেয়ে নিয়ে আমি কিভাবে যাব?’
রুবিনার মতো ভোগান্তিতে পড়েছেন ওই বগির শতাধিক যাত্রী।
ভুক্তভোগীরা জানান, ট্রেনটি সকাল ১০টা ১০ মিনিটে পঞ্চগড়ের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ছেড়ে গেছে বেলা সাড়ে ১১টায়। ৭ নম্বর প্ল্যাটফর্ম ছেড়ে যাওয়ার ঠিক ১০ মিনিট আগে যাত্রীদের জানানো হয়, বগিটি বিকল হয়ে গেছে। ফলে সেটি রেখেই ছেড়ে যাবে ট্রেন।
বগি রেখে ট্রেন চলে যাওয়ায় বিপাকে যাত্রীরা। ছবি: নিউজবাংলা
আরেক ভুক্তভোগী কমলা বেগম জানান, নির্ধারিত সময়ের আগে তিনি ট্রেনে চেপেছিলেন। কিন্তু অনেক সময় পেরিয়ে গেলেও ট্রেনটি ছাড়েনি।
তিনি বলেন, ‘ট্রেন ছাড়ার ১০ মিনিট আগে এসে বলছে, এই বগিটি যাবে না। টাকা ফেরত নিতে বলছে। টাকা ফেরত নিয়ে কী করব?’
এ বিষয়ে কমলাপুর স্টেশনের ম্যানেজার মাসুদ সারোয়ার বলেন, ‘বগিটির গিয়ারসংশ্লিষ্ট একটি সমস্যা হয়েছে। যেটি চললে দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। তাই ট্রেনটি বগিটি ছাড়াই ছেড়ে গেছে।’
তিনি বলেন, ‘১০৫ জনের মতো যাত্রী ছিল এই বগিতে। আমরা তাদের রিফান্ড নিতে বলেছি। এ ক্ষেত্রে আমরা অল্টারনেটিভ বগি সংযুক্ত করি। কিন্তু আমাদের কাছে আজকে অল্টারনেটিভ বগি নাই।’