শেরপুরের নকলায় প্রেমের সম্পর্ক না রাখায় কলেজছাত্রী হত্যার অভিযোগে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ।
নকলা উপজেলার কায়দা এলাকা থেকে সোমবার ভোর ৫টার দিকে আরিফুল ইসলামকে আটক করা হয়।
২৮ বছর বয়সী আরিফুলের বাড়ি নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের পূর্ব সিয়ারচর লালখা গ্রামে।
নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুশফিকুর রহমান নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ জানায়, ফেসবুকে আরিফুলের সঙ্গে পরিচয় হয় কায়দা এলাকার ২২ বছর বয়সী সোহাগী আক্তারের। সোহাগী সরকারি হাজী জালমামুদ কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী ছিলেন। সোমবার রাতে আরিফুল কৌশলে সোহাগীদের বাড়ির রান্নাঘরে লুকিয়ে থাকেন।
ভোরে সোহাগীর বাবা শহিদুল ইসলাম ঘর থেকে বের হলে আরিফুল তাকে ছুরি দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করেন। সোহাগী তাকে বাধা দিলে তাকেও ছুরিকাঘাত করা হয়।
চিৎকার শুনে স্থানীয়রা আহত বাবা-মেয়েকে নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক সোহাগীকে মৃত ঘোষণা করেন। গুরুতর অবস্থায় শহীদুলকে পাঠানো হয় ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।
স্থানীয়দের সহায়তায় পুলিশ আরিফুলকে আটক করে।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হান্নান মিয়া বলেন, ‘ফেসবুকে প্রেমের পর পাঁচ মাস আগে আরিফুল নারায়ণগঞ্জ থেকে নকলায় সোহাগীর সঙ্গে দেখা করতে আসেন। আরিফুলকে পছন্দ না হওয়ায় সোহাগী তার সঙ্গে আর সম্পর্ক রাখেননি।
‘এই ক্ষোভে আরিফুল এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন। তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। সোহাগীর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।’