বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শাহজালালের হ্যাঙ্গারে ২ উড়োজাহাজের সংঘর্ষ, ডানা ক্ষতিগ্রস্ত

  •    
  • ৪ জুলাই, ২০২২ ১০:৫৫

বিমান কর্মকর্তারা জানান, দুর্ঘটনার সময় উড়োজাহাজ দুটিতে পাইলট ছিলেন না। পুসকার দিয়ে প্রকৌশল বিভাগের কর্মীরা এগুলোকে হ্যাঙ্গারে নিয়ে যাচ্ছিলেন। তাদের অসতর্কতাই এ দুর্ঘটনার কারণ।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের হ্যাঙ্গারে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের দুই উড়োজাহাজের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উড়োজাহাজ দুটির ডানা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

গত রোববার রাত ৯টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বিমানের জনসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক তাহেরা খন্দকার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বিমানের একটি বোয়িং সেভেন এইট সেভেন ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজকে হ্যাঙ্গারে প্রবেশ করানোর সময় সেখানে বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা একটি বোয়িং সেভেন থ্রি সেভেন উড়োজাহাজের একটি পাখা এবং পাখার নিচের অংশে আঘাত লাগে।

‘এতে সেভেন থ্রি সেভেন উড়োজাহাজটির বাম ডানা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অন্যদিকে ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজটির ডান ডানাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।’

বিমান কর্মকর্তারা জানান, দুর্ঘটনার সময় উড়োজাহাজ দুটিতে পাইলট ছিলেন না। পুশ কার দিয়ে প্রকৌশল বিভাগের কর্মীরা এগুলোকে হ্যাঙ্গারে নিয়ে যাচ্ছিলেন। তাদের অসতর্কতাই এ দুর্ঘটনার কারণ।

নিয়ম অনুযায়ী হ্যাঙ্গারে নেয়ার সময় উড়োজাহাজে পাইলট থাকেন না।

এ ঘটনায় বিমানের এয়ার সেফটি বিভাগের পরিচালক এনামুল হক তালুকদারকে প্রধান করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

তাহেরা খন্দকার বলেন, ‘তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে, তবে বিমানের স্বাভাবিক ফ্লাইট কার্যক্রমে এই দুর্ঘটনার কোনো প্রভাব পড়বে না।’

বিমান কর্মকর্তারা বলছেন, দুর্ঘটনার ফলে আপাতত এ দুই উড়োজাহাজ দিয়ে যাত্রী পরিবহন করা যাবে না। উড়োজাহাজ দুটির কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে, তা নিরূপণ করতে নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িংয়ের কাছে প্রয়োজনীয় তথ্য পাঠানো হবে। তাদের মূল্যায়নের পর জানা যাবে ক্ষতির পরিমাণ।

এর আগে গত ১০ এপ্রিল দুপুরে বিমানের বোয়িং ৭৭৭ উড়োজাহাজ হ্যাঙ্গারে প্রবেশ করানোর সময় আগে থেকেই সেখানে থাকা বোয়িং ৭৩৭ উড়োজাহাজের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে ৭৭৭ উড়োজাহাজের র‌্যাডোম ও সামনের বাল্কহেড এবং ৭৩৭ উড়োজাহাজের বাম দিকের আনুভূমিক স্ট্যাবিলাইজারের কোনার অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

এ ঘটনার পরপরই বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয় তদন্ত কমিটি গঠন করে। সেই তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে গাফিলতির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিমানের পাঁচ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বরখাস্তের আদেশ দেয়া হয়।

বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তারা হলেন বিমানের মুখ্য প্রকৌশলী মোহাম্মদ বদরুল ইসলাম, প্রকৌশলী মো. মাইনুল ইসলাম, সৈয়দ বাহারুল ইসলাম ও সেলিম হোসেন খান এবং জিএসই অপারেটর মো. হাফিজুর রহমান।

এ বিভাগের আরো খবর