বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ডিজিটাল হাটে হাসিল নয়

  •    
  • ৩ জুলাই, ২০২২ ২২:১৩

মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, ‘অনলাইনে কেনাবেচায় ডিজিটাল মাধ্যমে লেনদেন করা যাবে। স্মার্ট কার্ডের পাশাপাশি অ্যাপসের মাধ্যমে পেমেন্টের সুযোগ রাখা হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তরের এটি একটি অনন্য নজির। অনলাইনে পশু কেনার পর সেটি পছন্দ না হলে বা যেটি ক্রেতা দেখেছিলেন সেটি না দেয়া হলে প্রতিকারের ব্যবস্থাও আছে অনলাইন হাটে।’

অনলাইনে পশু কেনাবেচার ক্ষেত্রে হাসিল (ইজারার চাঁদা) আদায় করা যাবে না বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

কোরবানির ডিজিটাল হাট উদ্বোধনকালে রোববার বিকেলে তিনি এ কথা বলেন।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এবং ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ই-ক্যাব) যৌথ উদ্যোগে ডিজিটাল হাটের উদ্বোধন হয়। ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে কারিগরি সহায়তা দেয় এটুআই।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি শ ম রেজাউল করিম বলেন, ‘অনলাইনে পশু কেনাবেচার ক্ষেত্রে হাসিল আদায় করা যাবে না। এটি ইজারাবহির্ভূত রাখা হবে। ডিজিটাল হাটে যেন কেউ হয়রানির শিকার না হয়, সেটি নিশ্চিত করা হবে। এ ছাড়া বাজারের বাইরে, বাড়িতে বা রাস্তায় কেউ যদি পশু বিক্রি করেন, তাহলেও তাদের কাছ থেকে কোনোভাবেই হাসিল বা চাঁদা আদায় করা যাবে না।’

ডিজিটাল হাটের সুবিধা বর্ণনা করে তিনি বলেন, ‘পশুর হাটের ব্যবস্থাপনা নিয়ে অনেক বিড়ম্বনা ছিল। কোথায় হাট বসবে, তা নিয়ে আছে জটিলতা। হাট পর্যন্ত পশু নিয়ে আসাও ঝুঁকিপূর্ণ। হাটের বাইরে টাকা ছিনতাইয়ের ঝুঁকিও আছে। তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে এখন সব সহজ হয়েছে।

‘অনলাইনে কেনাবেচায় ডিজিটাল মাধ্যমে লেনদেন করা যাবে। স্মার্ট কার্ডের পাশাপাশি অ্যাপসের মাধ্যমে পেমেন্টের সুযোগ রাখা হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তরের এটি একটি অনন্য নজির। অনলাইনে পশু কেনার পর সেটি পছন্দ না হলে বা যেটি ক্রেতা দেখেছিলেন সেটি না দেয়া হলে প্রতিকারের ব্যবস্থাও আছে অনলাইন হাটে।’

করোনা পরিস্থিতির কারণে গত বছর কোরবানির পশু বেচাকেনা কম হয়েছে বলে মনে করেন মন্ত্রী। তিনি জানান, গত বছর ৩ লাখ ৭৫ হাজার গবাদিপশু অনলাইনে বিক্রি হয়েছে। এ বছর কেনাবেচা বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।

অনলাইন হাটে গ্রাহক আস্থা তৈরির জন্য এটুআই, একপে, ই-ক্যাবসহ বিভিন্ন ফোরামকে সমন্বিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানান মন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘পশুর মালিকানা, ঠিকানা, পশুর বয়সসহ সম্পূর্ণ তথ্য অনলাইনে সরবরাহ করতে হবে। ভেটেরিনারি সার্জনের কাছ থেকে সনদ দিতে হবে। এতে রোগগ্রস্ত পশু কি না সেটা নির্ণয় করা যাবে। পশুর স্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সহযোগিতা করবে।’

কোরবানির ডিজিটাল হাট উদ্বোধন করেন প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। ছবি: সংগৃহীত

প্রাণিসম্পদমন্ত্রী জানান, দেশে চাহিদার তুলনায় পশু উদ্বৃত্ত আছে। ঈদে প্রায় ৯৭ লাখ ৭৫ হাজার কোরবানির পশুর চাহিদা থাকলেও প্রস্তুত রাখা হয়েছে ১ কোটি ২১ লাখ ২৪ হাজার ৮৮৯টি পশু। যাতে কোনোভাবেই পশুর সংকট না হয়।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) সভাপতি শমী কায়সার, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াহেদ তমালসহ ডিজিটাল হাটসংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের আরো খবর