পরিবেশ দূষণ করা অন্যতম উপাদানের নাম প্লাস্টিক। সব ধরনের প্লাস্টিক ক্ষতিকর হলেও মানুষের জীবনযাত্রায় নানা আঙ্গিকে প্রতিনিয়ত বাড়ছে এ উপাদান।
এবার সেই প্লাস্টিক বর্জ্যকে সম্পদে রূপান্তরিত করার উদ্যোগ নিয়েছে খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি)।
প্রতিদিন প্লাস্টিকের বর্জ্য থেকে ৫০০ কেজি তরল জ্বালানি উৎপাদন করবে তারা। পরিবেশ অধিদপ্তরের ‘থ্রি-আর (রিডিউস, রিইউজ ও রিসাইকেল) পাইলট উদ্যোগ বাস্তবায়ন (ফেজ-১)’ প্রকল্পের মাধ্যমে এ কাজ করবে কেসিসি।
কম্পোস্ট প্ল্যান্ট ও প্লাস্টিক বর্জ্য থেকে তরল জ্বালানি উৎপাদন প্ল্যান্ট নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর রোববার দুপুরে স্থাপন করা হয়েছে। কেসিসি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক প্রধান অতিথি থেকে এ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন।
প্রকল্পের সহকারী প্রকল্প পরিচালক (ডিপিডি) ও কেসিসির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা প্রকৌশলী আব্দুল আজিজ বলেন, ‘কেসিসি নগরসংলগ্ন বটিয়াঘাটা উপজেলার মাথাভাঙ্গা এলাকায় কম্পোস্ট প্ল্যান্ট নির্মাণের উদ্যোগ হাতে নিয়েছে। পরিবেশ অধিদপ্তরের থ্রি-আর পাইলট উদ্যোগ বাস্তবায়ন (ফেজ-১) শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় প্রায় দুই একর জায়গার ওপর ৫ দশমিক ২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।
‘প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে বর্জ্য থেকে প্রতিদিন ২০ টন সার উৎপাদন করবে। একই সঙ্গে প্লাস্টিক বর্জ্য থেকে প্রতিদিন ৫০০ কেজি তরল জ্বালানি তৈরি হবে। এ প্ল্যান্টের মাধ্যমে দূষিত পানি পরিশোধন করে সার উৎপাদনে ব্যবহার করা হবে।’
আব্দুল আজিজ বলেন, ‘খুলনা সিটির ২২, ২৭, ২৮, ২৯, ৩০ এবং ৩১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে অর্থাৎ মাথাভাঙ্গায় যে প্ল্যান্টটি নির্মাণ করা হচ্ছে তার পার্শ্ববর্তী এলাকা বা ওয়ার্ড থেকে প্রতিদিন ৩০ থেকে ৩৫ টন বর্জ্য সংগ্রহ করা হবে।
‘এই বর্জ্য থেকে প্লাস্টিক এবং অন্য বর্জ্য আলাদা করা হবে। প্ল্যান্টে ১০টি চেম্বার থাকবে। এই চেম্বারগুলোতে সাধারণ বর্জ্য দেয়া হবে, যা সার তৈরি হবে। আর প্লাস্টিক বর্জ্যগুলো পাইরোলাইসিস মেশিনে দেয়া হবে। সেখান থেকে তরল জ্বালানি তৈরি হবে।’
তিনি বলেন, ‘প্রকল্পটি চলতি বছরের অর্থাৎ ২০২২ সালের জানুয়ারিতে শুরু হয়েছে। অবকাঠামো নির্মাণসহ যাবতীয় কাজ ২০২৩ সালের জানুয়ারির মধ্যে শেষ হবে। তার পরই আমরা উৎপাদনে যাব।’
পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আব্দুল হামিদের সভাপতিত্বে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কেসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লস্কার তাজুল ইসলাম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন খুলনা পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক (উপসচিব) মো. ইকবাল, মো. ইকবাল হোসেনসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।