ঈদযাত্রায় ভোগান্তি এড়াতে সড়কে সব সংস্কারকাজ ঈদের পাঁচ দিন আগে শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এক্সপ্রেসওয়ে ও টোলপ্লাজায় বাড়তি বুথ চালু করতেও বলেছেন তিনি।
রোববার সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সভাকক্ষে ঈদুল আজহা উপলক্ষে প্রস্তুতি সভায় এ নির্দেশনা দেয়া হয়। সভায় নিজ বাসভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন মন্ত্রী।
কাদের বলেন, ‘যেসব রাস্তায় সংস্কার ও মেরামতের কাজ চলছে, ঈদের কমপক্ষে পাঁচ দিন আগে সেগুলো শেষ করতে হবে। ঈদের পাঁচ দিন আগে থেকেই চলাচলের জন্য রাস্তা প্রস্তুত রাখতে হবে।
‘এক্সপ্রেসওয়েতে যানবাহনের চাপ বাড়বে, তাই চাপ সামলাতে এক্সপ্রেসওয়ের টোল প্লাজা, পদ্মা সেতু, বঙ্গবন্ধু সেতু এবং মেঘনা ও গোমতি সেতুর টোল প্লাজায় বুথসংখ্যা বাড়াতে হবে।’
ঈদে সিএনজি স্টেশনগুলো ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের প্রতি অনুরোধও জানান তিনি। সেই সঙ্গে সড়কে গাড়ি যেন বিকল না হয় সেদিকে নজর রাখা এবং অতিরিক্ত ভাড়া নেয়ার অভিযোগ পাওয়ামাত্রই ব্যবস্থা নিতে বলেন।
পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় অনেক পশুবাহী যানবাহন এ পথে ঢাকায় আসবে-এটিও বিবেচনায় রাখার পরামর্শ দেন মন্ত্রী।
সড়ক ও মহাসড়কের ওপর পশুর হাট না বসানো, ফিটনেসহীন গাড়িতে পশু পরিবহন ঠেকানোর কথাও বলেন কাদের। বলেন, ‘এ বিষয়ে উৎসমুখে কড়া নজরদারি বাড়াতে হবে এবং প্রত্যেক জেলা প্রশাসন, হাইওয়ে পুলিশকে সক্রিয় থাকতে হবে।’
মন্ত্রীর দৃষ্টিতে এবারের ঈদে চ্যালেঞ্জ হবে বৃষ্টি, ধীরগতির পশুবাহী যানবাহন, ফিটনেসহীন গাড়িতে পশু পরিবহন, সড়কের পাশে পশুর হাট এবং করোনা সংক্রমণ।
এসব চ্যালেঞ্জ উত্তরণে সব অংশীজনের মধ্যে সমন্বয় সাধন করার তাগিদ দিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘অতীতের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে সবাইকে এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে।’
ঈদে করোনা সংক্রমণ বাড়তে পারে আশঙ্কা করে যাতায়াতে বাধ্যতামূলক মাস্ক পরা এবং এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের আরও সতর্ক থাকার নির্দেশ দেন কাদের। পাশাপাশি সাবধানে গাড়ি চালানোর কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘ঈদের আগে যতটা সতর্ক থাকা হয়, ঈদের পরে ততটা সতর্ক না থাকায় সড়কে দুর্ঘটনা বেশি হয়। তাই এ বিষয়েও নজর দিতে হবে।’
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নুরিসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও পরিবহনসংশ্লিষ্টরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।