পটুয়াখালীতে হঠাৎ ঝড়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। এ সময় গুরুতর আহত হয়েছে মৃতের মেয়ে। এ ছাড়া ঝড়ের কুণ্ডলীতে লন্ডভন্ড হয়েছে অন্তত সাতটি বসতঘর।
পটুয়াখালী শহরের চরপাড়া এলাকায় রোববার দুপুর ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জান্নাত আরা মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মৃত ৪৩ বছরের শাহীন হাওলাদারের বাড়ি চরপাড়া এলাকায়। পেশায় একজন মাছ ব্যবসায়ী ছিলেন তিনি। আহত তার মেয়ে মুক্তি আক্তারকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রতিবেশী জহির হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বাতাসের সঙ্গে বৃষ্টি শুরু হলে হঠাৎ কুণ্ডলী পাকিয়ে আঘাত হানে। এতে শাহীনের বসতঘর ছাড়াও ফিরোজা বেগম, সালাম মিয়া, নয়ন খান ও মোতালেব ভূঁইয়ার বসতঘর এবং চান ভানুর একটি দোকানঘরের চালা ও টিন উড়ে যায়।
‘শাহীন এ সময় তার ঘরের পাশে নদীতে গোসল করছিলেন। ঘরের উড়ে যাওয়া একটি টিন তার ওপর পড়লে তিনি মারা যান।’
আরেক প্রতিবেশী জাবের হোসেন বলেন, ‘শাহীনের মেয়ে মুক্তি তাদের টিনের ঘরের মধ্যে বাথরুমে গোসল করতে গেলে ঝড় শুরু হয়। ঝড়ে টিনের চালা ভেঙে তার মাথায় পড়লে গুরুতর আহত হয়। তাকে পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’
স্থানীয়দের বরাতে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, ‘দুপুর ১টার দিকে হঠাৎ কুণ্ডলী পাকিয়ে ৩০ সেকেন্ডের মতো ঝড় হয়। এতে মুহূর্তেই কয়েকটি ঘরের চালা উড়ে যায়। এ সময় ঘর থেকে ২০০ ফুট দূরে লাউকাঠী নদীতে গোসল করতে গেলে ঝড়ে উড়ে যাওয়া একটি টিন শাহীনের ঘাড়ে আঘাত করে।
‘এতে তার ঘাড়ের অনেকটা অংশ কেটে গেলে স্থানীয়রা তাকে পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন পটুয়াখালী জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা সুমন চন্দ্র দেবনাথ। তিনি বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করা হচ্ছে। তাদের প্রয়োজনীয় সহায়তা দেয়া হবে।’