প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে ঢাকার একটি আদালতে। শামীমা একই প্রতিষ্ঠানের সাবেক চেয়ারম্যান।
ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবদাস চন্দ্র অধিকারীর আদালতে রোববার জান্নাতুল ফেরদৌস নামে এক গ্রাহক মামলাটি করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আজাদ রহমান জানান, আদালত বাদীর জবানবন্দি নিয়ে ধানমন্ডি থানাকে মামলাটি এজাহার হিসেবে নিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলায় বলা হয়েছে, ইভ্যালির চমকপ্রদ বিজ্ঞাপনে আকৃষ্ট হয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস ২৬ লাখ ৭৭ হাজার ৫০০ টাকার বিভিন্ন পণ্য অর্ডার করেন। পরে তিনি ওই টাকা ইভ্যালির অ্যাকাউন্টে জমা দেন। কিন্তু ইভ্যালি ওইসব পণ্য বাদীকে সরবরাহ করতে ব্যর্থ হয়।
পণ্য সরবরাহ করতে না পারায় ইভ্যালি গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে ৫টি চেকের মাধ্যমে বাদীকে টাকা ফেরত দেন। কিন্তু ইউনাইটেড ব্যাংকের হেমায়েতপুর শাখায় জমা দিলে সব চেক ‘ডিসঅনার’ হয়। জান্নাতুল ফেরদৌস বিষয়টি জানালে ইভ্যালি টাকা পরিশোধ করতে চাইলেও গত ৬ মাসে তা দেয়নি।
বাদী গত ১৯ জুন ইভ্যালির ধানমন্ডি অফিসে গেলে সেখানকার কর্মচারীরা টাকা ফেরত দেয়া হবে না বলে সাফ জানিয়ে দেন। এ নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে বাদীকে প্রাণনাশের হুমকিও দেয়া হয়।
গত বছর ১৫ সেপ্টেম্বর প্রতারণার অভিযোগে আরিফ বাকের নামের একজন গ্রাহক গুলশান থানায় প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মো. রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
মামলার পরদিন র্যাব রাজধানীর মোহাম্মদপুরের স্যার সৈয়দ রোডের বাসা থেকে এ দম্পতিকে গ্রেপ্তার করে। সবগুলো মামলায় জামিন পেয়ে গত ৬ এপ্রিল কারামুক্ত হন শামীমা নাসরিন। তবে কারাগারেই আছেন তার স্বামী রাসেল।