গোপালগঞ্জে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে এক যুবককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
গোপালগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. হায়দার আলী খন্দোকার রোববার দুপুরে রায় ঘোষণা করেন।
এ সময় সাজাপ্রাপ্ত শহিদুল মোল্লা উপস্থিত ছিলেন না। তার বাড়ি সদর উপজেলার মোচড়া গ্রামে।
নিউজবাংলাকে তথ্য নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ আইনজীবী রঞ্জিত কুমার বাড়ৈ।
তিনি বলেন, ‘যৌতুকের জন্য স্ত্রী লাভলী বেগমকে হত্যার দায়ে যুবক শহিদুল মোল্লাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন বিচারক। এ রায়ে খুশি বাদীপক্ষ।’
এজাহারে বলা হয়, মোচড়া গ্রামের শহিদুল মোল্লার সঙ্গে একই গ্রামের ছমির গাজীর মেয়ে লাভলী বেগমের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে শহিদুল যৌতুকের জন্য লাভলীকে নির্যাতন করে আসছিলেন।
২০১৪ সালের জুলাইয়ে পুনরায় যৌতুকের চাপ দিলে লাভলী বেগম ঢাকায় চলে যান ও পোশাক কারখানায় চাকরি নেন। পরে শহিদুল লাভলীর পরিবারকে অনুরোধ করে তাকে বাড়িতে নিয়ে আসেন। কিছুদিন পর শহিদুল আবার ২ লাখ টাকা যৌতুক চান।
এতে লাভলী রাজি না হওয়ায় শহিদুল একই বছরের ২০ নভেম্বর ডাক্তারের কাছে যাওয়ার কথা বলে লাভলীকে বাড়ির পাশে ফাঁকা মাঠে নিয়ে গলায় মাফলার পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। পরদিন ২১ নভেম্বর সকালে পুলিশ লাভলীর মরদেহ উদ্ধার করে।
ওই দিনই লাভলীর বাবা ছমির গাজী শহিদুলসহ সাতজনকে আসামি করে সদর থানায় হত্যা মামলা করেন। তদন্ত শেষে পুলিশ শহিদুলের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়। দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত রায় দেয়।
আসামিপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন আইনজীবী পীযূষ কুমার চন্দ্র।