পদ্মা সেতুর রেলিং মানুষের নিরাপত্তার জন্য নয়, বরং এটি দেশি মান বজায় রাখতে দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
সচিবালয়ে রোববার মন্ত্রিসভা বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন।
সেতুর নাট-বল্টু খুলে ভাইরাল হওয়া ভিডিও প্রসঙ্গে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘সেতুতে হাঁটাচলার অনুমতি নেই। তবে স্ক্রু খোলার কথাটা আসছে, ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ডে আমাদের যে ওয়ালটুকু আছে, অতটুকু দিয়েই গাড়ি চলে। কিন্তু আমাদের রোডস অ্যান্ড হাইওয়ের স্ট্যান্ডার্ড চার ফুট। সে জন্য আরও এক ফুট উঁচু করে রেলিং দেয়া হয়েছে। এটা মানুষের সেফটির জন্য নয়, এটা আমাদের স্ট্যান্ডার্ডটাকে কাভার করার জন্য।’
‘দুই-তিন মাস আগে আমি এবং পদ্মা সেতুর কয়েকজন কনসালট্যান্ট ও পিডিসহ পৃথিবীর লেটেস্ট সবচেয়ে বড় ব্রিজ যেটা কুয়েতে উদ্বোধন করা হয়েছে, সেটা সাগরের মধ্যে ৩৬ কিলোমিটার। সেটা আমরা দেখে এলাম, আমাদের যেটুকু ওয়াল, ওদের অতটুকু গ্রিল দিয়ে প্রটেকশন দিয়েছে। ক্যান ইউ ইমাজিন দিস! সাগরের মাঝে যদি কোনো কারণে… আমাদের তো ওয়ালের মধ্যে গাড়ি ধাক্কা খেলে ফেরত আসবে। কিন্তু ওরা গ্রিল দিয়ে প্রটেকশন দিয়েছে। ওদের প্রটেকশনটা আমাদের ওয়াল যতটুকু ততটুকুই।’
তিনি বলেন, ‘পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের দিন বিকেলে কোরিয়ান এক্সপ্রেস করপোরেশন টেকওভার করেছে, পরের দিন থেকে তারা টোল ম্যানেজমেন্ট এবং মেইনটেন্যান্স দেখবে। কোরিয়ান এক্সপ্রেস করপোরেশন হলো ওয়ার্ল্ডের বেস্ট কোম্পানি, যারা হাইওয়ে এবং ব্রিজ ম্যানেজমেন্ট করে। ওরা ১৭ কিলোমিটার দীর্ঘ ইনচেন ব্রিজের ডিজাইনার এবং টোল ম্যানেজমেন্ট করে। ওদের ওই ব্রিজে লোকজন হাঁটতে পারে না।
‘এখন তারা অডিট করবে। প্রত্যেকটা জয়েন্ট আছে, নাট আছে। অডিট করে নিজেরা ঠিক করতে পারে, টাইট করে দেবে। নয়তো এমবিসিকে কল করবে...পদ্মার ওপরে মানুষ যাওয়ার কোনো সিস্টেম রাখা হয়নি।’
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘উদ্বোধনীতে আমরা বললাম, এটা ১০০ বছরের গ্যারান্টি আছে। সে জন্য সবাইকে কোঅপারেট করতে হবে। আমাদের ইমোশন আছে, ইমোশন অবশ্যই আমরা এপ্রিশিয়েট করি। কিন্তু সবার আগে সেফটির জন্য কোঅপারেট করতে হবে।’