ঈদের আগে পদ্মা সেতুতে বাইক চালুর কোনো সম্ভাবনা দেখছেন না মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
মন্ত্রিসভা বৈঠকের পর রোববার সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
সচিব বলেন, ‘পদ্মা সেতুতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন ক্যামেরা বসবে, স্পিডগান বসবে। এর পর হয়তো বাইকের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে, তবে ঈদের আগে মনে হয় না এটা হবে।’
গত ২৬ জুন পদ্মা সেতুতে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত মোটরসাইকেল নিষিদ্ধ করে সরকার। ২৭ জুন ভোর ৬টা থেকে মোটরসাইকেল চলাচলের এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়।
এর আগে ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সর্বসাধারণের চলাচলের জন্য সেতু উন্মুক্ত করে দেয়া হয় পরের দিন ভোর ৬টা থেকে, তবে সবার আগে সেতু পার হওয়ার প্রবণতায় ২৫ জুন রাত থেকেই হাজার হাজার বাইক ও যানবাহন সেতুর মাওয়া প্রান্তে জড়ো হতে থাকে। এতে সেতুর টোল প্লাজার আগেই দীর্ঘ যানজট তৈরি হয়।
আগে সেতু পার হওয়ার প্রবণতায় বাইকচালকরা বিশৃঙ্খলা শুরু করেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও তাদের সামাল দিতে হিমশিম খেয়ে যান।
বাইকাররা নির্দিষ্ট লেন না মেনে প্রায় সব লেনেই ভিড় করেন। এতে অন্য কোনো গাড়ি প্রবেশও করতে পারেনি টোল প্লাজায়।
এরই মধ্যে পদ্মা সেতুতে বাইক নিয়ে গিয়ে সেতুর রেলিং থেকে নাট খোলার ভিডিও ভাইরাল হয়। সেই ভিডিওর সূত্র ধরে বাইজীদ নামে এক যুবককে রাজধানী থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
আরেক ব্যক্তিকেও একটি ভিডিওতে রেলিং থেকে নাট খুলতে দেখা যায়। দেখা গেছে সেতুতে উঠে প্রস্রাব করার একটি ছবিও, যা দিনভর ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
এমন বিশৃঙ্খল পরিস্থিতিতে সেতুতে মোটরসাইকেল নিষিদ্ধ করার ঘোষণা আসে সরকারের তরফ থেকে।