বিকল্প অস্থায়ী নিয়োগ পদ্ধতি বা টিএলআর বাতিলের প্রতিবাদে লালমনিরহাটে বিক্ষোভ সমাবেশ করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে টিএলআর কর্মচারী সংগ্রাম পরিষদ।
এর আগে রোববার সকাল ১০টায় লালমনিরহাট রেলওয়ে স্টেশন অবরোধ করেন কয়েক শ শ্রমিক। এতে ঢাকাগামী লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেন ছেড়ে যায় নির্ধারিত সময়ের প্রায় এক ঘণ্টা পর।
জানা গেছে, হঠাৎ গত ৩০ জুন টিএলআর বন্ধ করে দিয়ে আউট সোর্সিংয়ের মাধ্যমে লোকবল নিয়োগ দেয়ায় বহু শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েন। এর প্রতিবাদে রোববার সকালে লালমনিরহাট রেলওয়ে ডিভিশনের কয়েক হাজার কর্মী আন্দোলনে নামেন।
এতে ঢাকাগামী লালমনি এক্সপ্রেসসহ লালমনিরহাট-রংপুর-পার্বতীপুর, লালমনিরহাট সান্তাহারগামী ট্রেন শিডিউল বন্ধ হয়ে যায়। ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা।
পরে বেলা ১১টার দিকে লালমনিরহাট রেলওয়ে ডিভিশনের বিভাগীয় রেলওয়ে ম্যানেজারের চাকরি স্থায়ীকরণের বিষয়ে আলোচনার আশ্বাসে অবরোধ তুলে নিয়ে রেলওয়ে ডিভিশনের বিভাগীয় রেলওয়ে ম্যানেজারের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করতে থাকেন।
শ্রমিকরা প্রচলিত টিএলআর পদ্ধতি চালু রাখা এবং আউট সোর্সিং প্রথা বাতিল করার দাবি জানান।
লালমনিরহাট রেলওয়ের অনিয়মিত শ্রমিক (টিএলআর) সভাপতি মো. জুয়েল বলেন, ‘আমি ২০ বছর গেটকিপার হিসেবে চাকরি করছি। কিন্তু হঠাৎ করেই গত ৩০ জুন থেকে টিএলআর পদগুলো বন্ধ করে আউট সোর্সিংয়ের মাধ্যমে লোকবল নিয়োগ দেয়ায় আমরা বেকার হয়ে পড়ি। আমাদের কর্মসংস্থান বন্ধ করে দিয়ে আউট সোর্সিংয়ে লোক নিয়োগ দিলে পরিবার নিয়ে আমরা কীভাবে বাঁচব?’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আউট সোর্সিং চাই না। আমরা যেভারে চাকরি করে আসছি, সেভাবেই করব। আর রেলওয়ের নিয়ম আছে তিন বছরের বেশি সময় চাকরি করলে তা স্থায়ী করা হবে। কিন্তু কেউ কেউ ১৫ থেকে ২০ বছর চাকরি করলেও স্থায়ী হয়নি। আবার আমাদেরকে রেল থেকে বের করে দিচ্ছে।’
রেলওয়ে ডিভিশনের ডিটিএসে থাকা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘আপনাদের চাকরি না থাকলে রেলওয়ের অনেক ক্ষতি হবে। লালমনি এক্সপ্রেসসহ প্রতিদিন যে ট্রেনগুলো চলে, সেগুলোসহ কয়েকটি স্টেশনও বন্ধ হয়ে যাবে। আমরা বিষয়টি নিয়ে রেলের ওপর মহলের সঙ্গে কথা বলে সমাধানের চেষ্টা করব।’
লালমনিরহাট রেলওয়ে ডিভিশনের বিভাগীয় রেলওয়ে ম্যানেজার শাহ সুফী নুর মোহাম্মদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আন্দোলনে অংশ নেয়া শ্রমিকরা যৌক্তিক দাবিতে আন্দোলন করছেন। তবে যেহেতু এটি সরকারি সিদ্ধান্ত, সে জন্য আলোচনা করা দরকার। আমরা তাদের চাকরি স্থায়ীকরণের বিষয়ে রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করব।’