বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘সরল বিশ্বাসে খেতা শাহকে আশ্রয় দিয়ে খুইয়েছি স্ত্রী’

  •    
  • ৩ জুলাই, ২০২২ ১১:১৭

শফিকুল বলেন, ‘দেড় মাস আগে আমার দুই চাচা বললেন, খেতা শাহর থাকতে অনেক কষ্ট হচ্ছে। আমার বাড়িতে আশ্রয় দিলে ভালোভাবে থাকতে পারবে। তখন সরল বিশ্বাসে আশ্রয় দিয়েছি। নিজেরা যা খেয়েছি, খেতা শাহকে তাই খাইয়েছি।’

সরল বিশ্বাসে খেতা শাহকে আশ্রয় দিয়ে এখন আফসোসের কথা জানিয়েছেন ময়মনসিংহের তারাকান্দার যুবক শফিকুল ইসলাম।

১০ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনও খোঁজ মেলেনি ফজলুল হক তালুকদার ওরফে খেতা শাহর বা শফিকুলের স্ত্রীর। মামলার পর পুলিশও খুঁজছে তাদের।

৬০ বছর বয়সী ফজলুলের বাড়ি নেত্রকোণার পূর্বধলা উপজেলার হীরনপুর গ্রামে। তিনি আধ্যাত্মিক ফকির খেতা শাহ নামে পরিচিত।

শফিকুল জানান, খেতা শাহ পাগলের মতো ঘোরাফেরা করতেন। তারাকান্দার একটি মাজারে থাকতেন। স্থানীয়দের কাছ থেকে যা পেতেন তাই খেতেন। এর চার মাস আগে মাজারের পাশের একজনের বাসায় দুই মাস ছিলেন। হঠাৎ সেখান থেকে চলে আসেন।

তিনি বলেন, ‘খেতা বাবা চুল-গোঁফ-দাড়ি অনেক বড় রাখতেন। শরীরে সব সময় কাঁথা থাকত। তাকে অনেকে পছন্দ করত, অনেক ভক্ত ছিল। আমিও তাকে আধ্যাত্মিক ফকির ভেবে ভক্ত হয়ে গিয়েছিলাম।

‘দেড় মাস আগে আমার দুই চাচা বললেন, খেতা শাহর থাকতে অনেক কষ্ট হচ্ছে। আমার বাড়িতে আশ্রয় দিলে ভালোভাবে থাকতে পারবে। তখন সরল বিশ্বাসে আশ্রয় দিয়েছি। নিজেরা যা খেয়েছি, খেতা শাহকে তাই খাইয়েছি।’

খেতা শাহ যা বলবেন তাই হবে বলে বিশ্বাস ছিল শফিকুলের।

তিনি বলেন, ‘খেতা শাহ শান্ত প্রকৃতির ছিলেন। ব্যবহার ছিল মধুর। তিনি যা বলবেন তাই হবে বলে বিশ্বাস ছিল। এ জন্য সর্বোচ্চ যত্ন করে আমার বাসায় রেখেছি। তাকে কখনও নামাজ পড়তে দেখিনি, কিন্তু অন্ধ বিশ্বাসের কারণে অবিশ্বাস করিনি।

‘আমি তো আর সব সময় বাড়িতে থাকি না। আমার অনুপস্থিতিতে হয়তো আমার স্ত্রীকেও ভক্ত বানিয়েছে। এরপর সুযোগ বুঝে পালিয়েছে। তিন সন্তান নিয়ে আমি এখন বিপদে আছি। এ ঘটনায় আমি লজ্জিত। তাকে গ্রেপ্তার করে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানাই।’

খেতা শাহর বিষয়ে স্থানীয় জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘তার চলাফেরা পাগলের মতো ছিল। কেউ তার কাছে সমস্যার কথা বললে ঝাড়ফুঁক দিতেন। ভালো ফকির হিসেবে সবার কাছে বিশ্বস্ততা অর্জন করেছিলেন। তাকে গ্রেপ্তার করলে অনেক অজানা তথ্য বেরিয়ে আসবে।’

গত ২২ জুন শফিকুলের স্ত্রীর বাবার বাড়ি ধোবাউড়ায় যাওয়ার কথা বলে খেতা শাহকে নিয়ে বের হন। এরপর দুজনই নিখোঁজ হন।

এ ঘটনায় খেতা শাহর নামে শুক্রবার সন্ধ্যায় থানায় লিখিত দেন শফিকুল ইসলাম। রাত ১২টার দিকে তার অভিযোগ মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়।

তারাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল খায়ের বলেন, ‘খেতা শাহ ও শফিকুলের স্ত্রীকে খুঁজতে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে।’

এ বিভাগের আরো খবর