ফরিদপুরের সালথায় পাঁচ টাকার লোভ ধরিয়ে সাত বছরের এক শিশুকে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। শনিবার দুপুরে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ।
শিশুটিকে উদ্ধার করে পুলিশি হেফাজতে নিয়ে মেডিক্যাল পরীক্ষার ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
অভিযুক্তের নাম দেলোয়ার হোসেন কুমকুম, বয়স ৫০ বছর।
সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান লাভলু জানান, শিশুটি স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় পড়াশোনা করে। মাদ্রাসায় যাওয়া-আসার সময় দেলোয়ার শিশুটির হাতে পাঁচ টাকার নোট ধরিয়ে দিয়ে বাড়ির পাশে একটি গরুর ফার্মে নিয়ে ‘ধর্ষণ’ করে।
এভাবে গত কয়েক দিনে বেশ কয়েকবার শিশুটিকে ‘ধর্ষণ’ করা হয়েছে জানিয়ে ওই চেয়ারম্যান বলেন, ‘শিশুটি নিজে আমাকে ঘটনাটি জানায়। বিষয়টি স্থানীয়রা টের পেলে শুক্রবার রাতে দেলোয়ারকে ধরে মারধর করে ছেড়ে দেয়।’
শিশুটির মা বলেন, ‘স্থানীয় মাতুব্বরেরা ঘটনা মীমাংসা করে দিতে চাইলে তাতে প্রথমে রাজি না হওয়ায় আমার গলায় দেলোয়ার ছুরি ধরে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। একপর্যায়ে ভয়ে আমি মীমাংসা করতে বাধ্য হই, তবে এখন আমি চাই মামলা করতে।’
পরে এ খবরটি স্থানীয় সংবাদকর্মী ও চেয়ারম্যানের মাধ্যমে থানা পুলিশ জানতে পেরে ঘটনাস্থলে গিয়ে শিশুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন তারা। পরে শিশুর বয়ান রেকর্ড করে পুলিশ। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় অভিযুক্ত দেলোয়ারকে আটক করে থানায় নেয় পুলিশ।
সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ সাদিক বলেন, ‘শিশুকে ধর্ষণের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযুক্ত দেলোয়ার হোসেন কুমকুম মিয়াকে আটক করা হয়েছে। পাশাপাশি ওই শিশুটিকে উদ্ধার করে শারীরিক পরীক্ষার জন্য ফরিদপুরের বিএসএমএমসি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে এখনও মামলা করা হয়নি। মামলা প্রক্রিয়াধীন।’