বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সালিশে নারীকে মারধর: কারাগারে আসামি

  •    
  • ২ জুলাই, ২০২২ ২০:২২

ওসি আবুল হাশিম বলেন, ‘একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিরা পলাতক। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

কুমিল্লার মুরাদনগরে নারী মানবাধিকারকর্মীকে মারধর ও শ্লীলতাহানির অভিযোগে করা মামলায় গ্রেপ্তার এক আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মুরাদনগর থানায় শনিবার সকালে মামলার পর বিকেলে উপজেলার ত্রিশগ্রাম থেকে জামাল হোসেনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

বিষয়টি নিশ্চিত করে মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাশিম জানান, শনিবার সন্ধ্যায় আদালতের মাধ্যমে আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

আদালতের পরিদর্শক মজিবুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কুমিল্লার ৮ নম্বর আমলি আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মুহাম্মদ ওমর ফারুক আসামিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।’

গ্রেপ্তার ৩০ বছরের জামাল হোসেনের বাড়ি উপজেলার ত্রিশগ্রামে। মামলার এজাহারভুক্ত ৭ নম্বর আসামি তিনি।

২৮ জুন রাতে নবীপুর (পশ্চিম) ইউনিয়নের কোম্পানীগঞ্জ বাজারে ইউপি চেয়ারম্যানের সালিশে ইন্টারন্যাশনাল লিগ্যাল এইড ফাউন্ডেশনের কর্মী মরিয়ম বেগমকে মারধরের অভিযোগ ওঠে।

মরিয়ম বলেন, ‘নবীপুর (পশ্চিম) ইউপি চেয়ারম্যান ভিপি জাকির হোসেনের সামনে তার ভাতিজা ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার দেলোয়ার হোসেন দলবল নিয়ে আমার ওপর চড়াও হয়।’

এ ঘটনার সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যায়, দোকানের সামনে কয়েকজন মানুষের জটলা। এর মধ্যে থেকে তিন ব্যক্তি বোরকা পরা এক নারীকে ধরার চেষ্টা করলে তিনি ওই দোকানের ভেতর ঢুকে পড়েন। এ সময় দেলোয়ারের লোকজন তার বোরকা ধরে টানাটানি করতে থাকলে তাদের বাধা দেন জাকির। একপর্যায়ে দেলোয়ার ও তার লোকজন দোকান থেকে ওই নারীকে টেনেহিঁচড়ে বের করে নিয়ে যান।

শনিবার সকালে মুরাদনগর থানায় আটজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন মামলা করেছেন মরিয়ম।

আসামিরা হলেন উপজেলার উত্তর ত্রিশগ্রামের মেম্বারের ছেলে ইউপি সদস্য দেলোয়ার হোসেন, তার ছোট ভাই সুমন সরকার, রাসেল মিয়া, সুধন মিয়ার ছেলে হাবিব মিয়া, হাসু মিয়ার ছেলে হেলাল মিয়া, তবদল মিয়ার ছেলে রনি মিয়া, লতু মিয়ার ছেলে আলমগীর হোসেন।

যদিও ঘটনার পর থানায় গেলেও পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা না নেয়ার অভিযোগ তুলেছিলেন তিনি।

ওসি আবুল হাশিম বলেন, ‘একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসমিরা পলাতক। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর