বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

লিসবনে বাংলাদেশ দূতাবাসের নিজস্ব ভবন উদ্বোধন

  •    
  • ২ জুলাই, ২০২২ ১৯:২৪

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘চ্যান্সারি ভবনটি আমরা যে গত বছর স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর উদযাপন করেছি, তারই একটি রূপান্তরের প্রতীক। এটি জাতীয় উন্নয়ন আকাঙ্ক্ষার মান অনুযায়ী বিশ্বব্যাপী কূটনৈতিক সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পদচিহ্ন হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে।’

পর্তুগালের রাজধানী লিসবনে বাংলাদেশ দূতাবাসের স্থায়ী নতুন চ্যান্সারি ভবন উদ্বোধন হয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন স্থানীয় সময় শুক্রবার উৎসবের মাধ্যমে এর উদ্বোধন করেন।

শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পর্তুগালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাসচিব আলভারো মেন্ডোনসা ই মৌরা।

উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন ও ফিতা কাটার পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী চ্যান্সারি ভবনের দেয়ালে স্থাপিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান।

রাষ্ট্রদূত তারিক আহসান, রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) মো. খুরশেদ আলম, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা, দূতাবাসের অন্যান্য কর্মকর্তা, পর্তুগিজ অতিথিসহ প্রবাসী বাংলাদেশিরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

রাষ্ট্রদূত তারিক আহসান স্বাগত বক্তব্যে বলেন, ‘আমাদের দূতাবাসের কাজের চাপ বহু গুণ বেড়েছে। নতুন চ্যান্সারি ভবন বাংলাদেশ ও পর্তুগালের জনগণের মধ্যে বন্ধুত্বের বন্ধন জোরদার করতে বড় ভূমিকা রাখবে।’

আলভারো মেন্ডোনসা ই মৌরা বলেন, ‘লিসবনে স্থায়ী চ্যান্সারি ভবন উদ্বোধনের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও পর্তুগালের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও উচ্চতর পর্যায়ে উন্নীত হবে।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘চ্যান্সারি বিল্ডিংটি আমরা যে গত বছর স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর উদযাপন করেছি, তারই একটি রূপান্তরের প্রতীক। এটি জাতীয় উন্নয়ন আকাঙ্ক্ষার মান অনুযায়ী বিশ্বব্যাপী কূটনৈতিক সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পদচিহ্ন হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে।’

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মূল পর্বের পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী চ্যান্সারির বঙ্গবন্ধু কর্নারের উদ্বোধন করেন। তিনি চ্যান্সারি ভবনের বিভিন্ন অংশ ঘুরে দেখেন এবং কনস্যুলার সেবাপ্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

লিসবনে বাংলাদেশের আবাসিক দূতাবাস প্রথম স্থাপিত হয় একটি ভাড়া করা ভবনে ২০১২ সালের জুলাই মাসে। বাংলাদেশ সরকার ২০২০ সালে চ্যান্সারি এবং রাষ্ট্রদূতের বাসভবনের স্থায়ী ঠিকানার জন্য দুটি সম্পত্তি কেনে।

দুই হাজার বর্গমিটার জমির ওপর গড়ে উঠেছে চ্যান্সেরির তিনতলা ভবন। এতে রয়েছে অভ্যর্থনা এলাকা, অডিটোরিয়াম, বঙ্গবন্ধু কর্নার, কনফারেন্স রুম, ডাইনিং রুম, প্রশস্ত প্রদর্শনী কক্ষ, আলাদা প্রবেশদ্বারসহ কনস্যুলার সার্ভিস এলাকা, প্রশস্ত ওয়েটিং রুম ও অফিস কক্ষ। এছাড়াও বড় পাবলিক ইভেন্ট করার জন্য রয়েছে উপযুক্ত বড় খোলা জায়গা। এটি ইউরোপে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় চ্যান্সারি ভবনগুলোর একটি।

এ বিভাগের আরো খবর