পাঁচ-ছয় বছর আগে ঘের থেকে বালু ওঠানোর সময় হঠাৎ গ্যাসের সন্ধান পেয়েছিলেন বাগেরহাটের মোংলার মাছ ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেন। এরপর সেখানে বালু ওঠানো বন্ধ করে দেন তিনি।
গত বৃহস্পতিবার সেই ঘেরে আবার বালু ওঠানোর জন্য পাইপ বসাতে গিয়ে গ্যাসের দেখা পান দেলোয়ার। সেই থেকে নিজ ঘেরের গ্যাসে রান্নাবান্না করছেন দেলোয়ারের স্ত্রী। খবর পেয়ে আশপাশের এলাকা থেকে লোকজন আসছেন গ্যাস ওঠা দেখতে।
ঘেরে গ্যাসের বুদবুদ নিয়ে মোংলার মিঠাখালী ইউনিয়নের মধ্যপাড়া এলাকার বাসিন্দা দেলোয়ার বলেন, ‘বৃহস্পতিবার সকালে তিন বিঘা জমিতে মাছের ঘেরে পাইপ বসাতে বালু কাটা হচ্ছিল। ওই সময় দেখতে পাই হঠাৎ ৫০ ফুট উচ্চতায় গ্যাস, বালু ও পানি ওপরের দিকে উঠতে থাকে। তাৎক্ষণিকভাবে একটি ড্রাম দিয়ে পাইপ বসানো হয়। সেই পাইপ লাইন থেকে আমরা এখন রান্নার কাজ করতেছি।
‘পাঁচ-ছয় বছর আগে এই মাছের ঘের থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু ওঠানোর জন্য পাইপ বসালে তখন গ্যাসের সন্ধান পাই। তখন বালু ওঠানোর কাজ বন্ধ করে দিই আমরা। এখন দেখি সেখান থেকে আবারও গ্যাস উঠতেছে।’
দেলোয়ারের স্ত্রী সুফিয়া খাতুন মিম বলেন, ‘এ ঘেরে বালু চেক করার জন্য পাইপ লাগাইছিল, কিন্তু সেখান থেকে এখন গ্যাস উঠতেছে। আমি এখন এই গ্যাস দিয়ে রান্নাবান্নার কাজ করতেছি।’
গ্যাস ওঠা দেখতে আসা দক্ষিণ চাঁদপাইয়ের উজ্জল মল্লিক বলেন, ‘আমরা শুনেছি এই এলাকার একটি মাছের ঘের থেকে গ্যাস উঠতেছে। পরিবার নিয়ে দেখতে আসলাম। এসে সত্যিই দেখি গ্যাস দিয়ে তারা রান্নাবান্না করতেছে।’
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য উকিল উদ্দিন ইজারাদার বলেন, ‘আজ থেকে প্রায় পাঁচ-ছয় বছর আগে এখান থেকে এই গ্যাস ওঠে, কিন্তু কেউ কখনও মূল্যায়ন করেনি।
‘কী পরিমাণ গ্যাস আছে তা আমরা বলতে পারছি না। দ্রুত সরকারের ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন। না হলে যেকোনো সময় বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে।’
মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজখবর নিয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হবে।’
মোংলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) কমলেশ মজুমদার বলেন, ‘স্থানীয়দের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরেছি। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পরবর্তী করণীয় বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’