কুষ্টিয়ার মিরপুরে ভাগ্নের হাতুড়ির আঘাতে গুরুতর আহত এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।
রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত ৫৫ বছরের আয়ূব আলী চৌদুয়ার বিলপাড়া এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। অভিযুক্ত সাজু একই এলাকার রাজ্জাক আলীর ছেলে।
নিহতের ভাতিজা হুমায়ূন কবির জানান, জমি নিয়ে পারিবারিক কলহের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার বিকেলে আয়ূব আলী উপজেলার আমলা ইউনিয়নের নিমতলা বাজার থেকে মোটরসাইকেলে করে ফিরছিলেন। চৌদুয়ার বিলপাড়া এলাকায় পৌঁছলে ভাগ্নে সাজু মোটরসাইকেল থেকে আয়ূবকে লাথি দিয়ে ফেলে দেন।
এ সময় হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে আয়ূবের মুখ ও মাথা গুরুতর জখম করে পালিয়ে যান সাজু।
গুরুতর অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখান থেকে চিকিৎসকের পরামর্শে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
হুমায়ূন বলেন, ‘চাচার চিকিৎসার জন্য দৌড়াদৌড়ি করায় থানায় অভিযোগ দিতে পারিনি। তবে থানায় মৌখিকভাবে জানিয়েছি। এখন থানায় হত্যা মামলা করা হবে।’
ওসি গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত সাজু পলাতক। তার বিরুদ্ধে এর আগেও একটি হত্যা মামলা রয়েছে। হত্যা মামলার আসামি হওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে ভারতে পলাতক ছিলেন তিনি। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’