বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দুগ্ধপল্লির সুদিন আনল পদ্মা সেতু

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ১ জুলাই, ২০২২ ১৯:০৪

ঢাকার সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ না থাকায় এই পল্লিতে উৎপাদিত বিপুল পরিমাণ দুধ কম দামে বিক্রি করতে হতো খামারিদের। পদ্মা সেতু তাদের ভাগ্য রাতারাতি বদলে দেবে বলে আশা করা হচ্ছে।

পদ্মা সেতুর প্রভাবে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের অর্থনীতিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে নানাবিধ প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। এর জ্বলন্ত প্রমাণ সাতক্ষীরার তালা উপজেলার জিয়ালা ঘোষ গ্রামে।

ওই গ্রামে ১৩ হাজারের বেশি গাভী রয়েছে; যেখান থেকে প্রতিদিন গড়ে ৫০ হাজার লিটার দুধ উৎপাদিত হয়। সারা দেশে দুগ্ধপল্লি হিসেবে পরিচিতি লাভ করা এই এলাকাটির বেশ কয়েকজন খামারি জাতীয় পুরস্কারও পেয়েছেন।

কিন্তু ইতিপূর্বে রাজধানী ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগ ভালো না হওয়ায় দুগ্ধপল্লিতে উৎপাদিত দুধ সারা দেশে সরবরাহ বেশ কষ্টসাধ্য ছিল। করোনার সময়ও তাদের বিপুল অঙ্কের লোকসান গুনতে হয়েছে।

খামারিরা দাবি করেছেন, করোনার সময় এই পল্লিতে গড়ে প্রতিদিন ৩০ লাখ টাকার দুধ নষ্ট হয়েছে। সেই ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে অনেক সময় লাগবে। তবে পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় সব ক্ষতি পুষিয়ে ব্যাপক অর্থনৈতিক বিপ্লব ঘটবে বলে আশা করছেন তারা।

পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর ইতোমধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে কয়েকবার ঢাকায় দুধ সরবরাহ করেছে দুগ্ধপল্লি সমিতি। এতে খরচ বাদ দিয়েও তারা আশানুরূপ লাভ পেয়েছে বলে জানা গেছে।

দুগ্ধপল্লির খামারি দিবস ঘোষ বলেন, ‘আমাদের এই পল্লিতে রোজ ৫০ হাজার লিটার দুধ উৎপাদন হয়। যেটি বাংলাদেশে আর কোথাও হয় না। আগে আমাদের উৎপাদিত দুধ স্বল্পমূল্যে বিভিন্ন কোম্পানিকে দিতে বাধ্য হতাম। কারণ পার্শ্ববর্তী খুলনা ছাড়া সরাসরি দুধ বিক্রি করতে আমাদের আর কোনো সুযোগ ছিল না। তবে এখন সরাসরি ঢাকায় দুধ নিয়ে যাওয়ার উন্নত মাধ্যম তৈরি হয়েছে, যা আমাদের দিন বদলে বড় ভূমিকা রাখবে।’

এ বিষয়ে দুগ্ধপল্লি সমিতির সভাপতি প্রশান্ত ঘোষ বলেন, ‘এই পল্লিতে রোজ প্রায় ২ কোটি টাকার দুধ উৎপাদন হয়, আগে যা বিক্রি করতে হিমশিম খেতে হতো। যাতায়াতব্যবস্থা ভালো না হওয়ায় আমরা সরাসরি ঢাকায় দুধ সরবরাহ করতে পারতাম না। তবে পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় দুগ্ধপল্লি আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল। গত কয়েক দিনে পরীক্ষামূলকভাবে ঢাকায় একাধিকবার দুধ পাঠানো হয়েছে।’

প্রশান্ত জানান, এর আগে পল্লিতে উৎপাদিত দুধের মধ্যে প্রতিদিন প্রায় ১০ হাজার লিটার মিল্ক ভিটা এবং ৮০০ লিটার আকিজ কোম্পানি সংগ্রহ করত। বাকি দুধ সাতক্ষীরা, খুলনাসহ পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোর মিষ্টান্ন ভান্ডার ও অন্যান্য বেসরকারি ফার্মে কম দামে দেয়া হতো।

সাতক্ষীরা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা এ বি এম আব্দুর রউফ বলেন, ‘দুগ্ধপল্লিটি দেশের একটি বড় সম্পদ। বাংলাদেশ সরকার চেষ্টা করেছে তাদের যথাযথ সুযোগ-সুবিধা দেয়ার। তবে পদ্মা সেতুর প্রভাবে তাদের ভাগ্য এখন বদলে গেছে। অল্প সময়ে সরাসরি ঢাকায় দুধ সরবরাহের সুযোগ তৈরি হওয়ায় তাদের লাভটাও হবে বেশি।’

রউফ জানান, কোনো হয়রানি ছাড়া ঢাকায় দুধ সরবরাহের ব্যবস্থা করা হবে। এ বিষয়ে দুগ্ধপল্লির খামারিদের সঙ্গে আলাপ চলছে।

এ বিভাগের আরো খবর