বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘ঘুরে না দাঁড়ালে পদ্মা সেতু-মেট্রোরেল হতো না’

  •    
  • ১ জুলাই, ২০২২ ১৫:৪৮

শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘হোলি আর্টিজানের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পর আমরা যদি ঘুরে দাঁড়াতে না পারতাম, তবে আজ যে পদ্মা সেতু দেখছি, মেট্রোরেল দেখছি, তার কোনো প্রজেক্টই বাস্তবায়ন করা সম্ভব হতো না। কোনো বিদেশি ইঞ্জিনিয়ার, টেকনিশিয়ান জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাংলাদেশে কাজ করতে আসত না। আমরা ঘুরে দাঁড়াতে পেরেছি বলেই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।’

গুলশানের হোলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলার পর ঘুরে দাঁড়াতে না পারলে পদ্মা সেতু-মেট্রোরেল প্রজেক্টই বাস্তবায়ন হতো না বলে মনে করেন ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম।

হোলি আর্টিজান হামলার ষষ্ঠ বার্ষিকীতে শুক্রবার ‘দীপ্ত শপথ’ ভাস্কর্যে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ কথা বলেন।

হোলি আর্টিজান হামলায় তৎকালীন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) রবিউল করিম ও বনানী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সালাউদ্দিন নিহত হন। তাদের স্মরণে গুলশান মডেল থানার সামনে ‘দীপ্ত শপথ’ নামে এই দুই অফিসারের ভাস্কর্য বানানো হয়। প্রতি বছর হোলি আর্টিজানের হামলার বার্ষিকীতে ভাস্কর্যে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয় তাদের স্মরণে।

শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘হোলি আর্টিজানের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পর আমরা যদি ঘুরে দাঁড়াতে না পারতাম, তবে আজ যে পদ্মা সেতু দেখছি, মেট্রোরেল দেখছি, তার কোনো প্রজেক্টই বাস্তবায়ন করা সম্ভব হতো না। কোনো বিদেশি ইঞ্জিনিয়ার, টেকনিশিয়ান জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাংলাদেশে কাজ করতে আসত না। আমরা ঘুরে দাঁড়াতে পেরেছি বলেই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘হরকাত-উল-জিহাদের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের জঙ্গিবাদের উত্থান হয় ও জেএমবির উত্থান ঘটে। এরপর ইরাকে যখন আইএসের উৎপাত শুরু হয়, তখন বাংলাদেশের দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য দেশের কিছু মানুষ তামিম চৌধুরীর নেতৃত্বে হোলি আর্টিজানে হামলা চালায়।’

তিনি বলেন, ‘হোলি আর্টিজানের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পর থেকেই বাংলাদেশ পুলিশ জঙ্গি দমনে নতুন একটি ইউনিট খোলে। এই ইউনিটের অধিকাংশ সদস্যই বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হন। এরপর দেশের যেসব জায়গায় জঙ্গিবাদ মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার চেষ্টা করেছে, সেখানেই জঙ্গিদের আস্তানা তছনছ করে দেয়া হয়েছে।’

জঙ্গি দমনে আত্মতৃপ্তিতে ভুগছেন না বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা। বলেন, ‘এখনও জঙ্গি তৎপরতা মাঝে মাঝে চোখে পড়ছে। জঙ্গিদের সোশ্যাল মিডিয়ায় অ্যাকটিভিটিসহ সব বিষয়ে আমরা মনিটরিং করছি।

‘এ ছাড়া বিভিন্ন সময় অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিট, কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটসহ বিভিন্ন মেট্রো ও জেলা পুলিশ মিলে একটি করে ছোট ইউনিট করা হয়েছে। বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে জঙ্গিদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, হচ্ছে। জঙ্গিদের নেটওয়ার্ক নস্যাৎ করে দেয়া হচ্ছে।’

এ বিভাগের আরো খবর