বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ‘সুপার ইউনিট’ খ্যাত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাংগঠনিক কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।
ছাত্রলীগ সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত শুক্রবারের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশ দেয়া হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের এক জরুরি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জানানো যাচ্ছে যে, পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সব সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থগিত করা হলো।’
আগের কমিটি বিলুপ্তির প্রায় ৩৪ মাস পর চলতি বছরের পয়লা জানুয়ারি এক বছরের জন্য জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের ৩৫ সদস্যের আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়।
কী কারণে কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে, সে বিষয়ে কোনো ব্যাখ্যা দেয়া হয়নি বিজ্ঞপ্তিতে, তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ছাত্রলীগের জ্যেষ্ঠ এক নেতা বলেছেন, রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের ছেলে রিয়াদ আহমেদ তুষারের গাড়িচালককে মারধর করেছেন জবি ছাত্রলীগের কর্মীরা। এর জেরে শাখা ছাত্রলীগের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।
কী হয়েছিল গাড়িচালকের সঙ্গে
রাষ্ট্রপতির ছেলে তুষারের গাড়িচালক নজরুল ইসলাম গত ২৬ জুন বঙ্গভবন থেকে রাষ্ট্রপ্রধানের নাতি ইসা আব্দুল্লাহকে প্রাইভেট পড়তে দিয়ে বঙ্গভবনে ফিরছিলেন। তিনি ওয়ারীর চামু ডেল্টার মোড় থেকে টিপু সুলতান রোডের মাথায় পৌঁছার পর গাড়ির হর্ন দেন। ওই সময় জবি ছাত্রলীগকর্মী কৌশিক সরকার সাম্য মোবাইলে কথা বলতে বলতে রাস্তা পার হচ্ছিলেন।
হর্ন দেয়ার পর সাম্য উত্তেজিত হয়ে গাড়ির দিকে তেড়ে আসেন এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। একপর্যায়ে চালকের মুখে থুতু নিক্ষেপের পর গাড়ির পেছনে জোরে লাথি মারেন তিনি।
এমন আচরণের পর সাম্যের পরিচয় জানার চেষ্টা করলে তিনি উত্তেজিত হয়ে মোবাইল ফোনে অজ্ঞাত চার-পাঁচজনকে ডেকে আনেন। এ সময় সাম্যসহ অন্যরা নজরুলের মুখ ও পিঠে এলোপাতাড়ি আঘাত করেন এবং হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যান।
এ ঘটনায় গাড়িচালক নজরুল ইসলাম রাজধানীর ওয়ারী থানায় মামলা করেন।
মামলায় জবি ছাত্রলীগকর্মী কৌশিক সরকার সাম্যসহ অজ্ঞাত চার-পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে।
অভিযুক্ত সাম্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আকতার হোসাইনের অনুসারী।