টেকসই উন্নয়ন অভীষ্টের (এসডিজি) সব লক্ষ্য অর্জনে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
পর্তুগালের রাজধানী লিসবনে দ্বিতীয় জাতিসংঘ মহাসাগর সম্মেলনের পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে তিনি দেশের এ অবস্থানের কথা জানান।
শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পাঠানো বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
মোমেন তার বক্তৃতায় উপস্থিত সবার উদ্দেশে বলেন, ‘টেকসই উন্নয়নের জন্য সাগর, সমুদ্র এবং সামুদ্রিক সম্পদ সংরক্ষণ ও টেকসই ব্যবহার করুন।’
সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে অংশ নেন মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিটের সচিব অবসরপ্রাপ্ত রিয়ার অ্যাডমিরাল খুরশেদ আলম, পর্তুগালে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তারিক আহসানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী সমুদ্র ও সমুদ্রের টেকসই উন্নয়নকে বেগবান করতে সমুদ্রবিজ্ঞান চর্চার ওপর গুরুত্ব দেন।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্বে ও দিকনির্দেশনায় বাংলাদেশ প্রতিবেশী উভয় দেশের সঙ্গে সমুদ্রসীমার সমস্যা সমাধান করেছে এবং যৌথভাবে সম্পদ কাজে লাগাতে প্রস্তুত। অবৈধ, আনরিপোর্টেড এবং আনরেগুলেটেড মাছ ধরা দূর করার জন্য বাংলাদেশ সরকার তার একচেটিয়া অর্থনৈতিক অঞ্চলের মোট প্রায় ৪.৪ শতাংশ এলাকাকে সামুদ্রিক সুরক্ষিত এলাকা হিসেবে ঘোষণা করেছে এবং ২০১৯ সালে জাতীয় কর্মপরিকল্পনায় তা বাস্তবায়ন করেছে।’
তিনি বলেন, সরকার বাংলাদেশ জাহাজ চলাচল আইনকে সংশোধন করেছে। সরকার রিসাইকেল অ্যাক্ট-২০১৮ মেনে চলছে। ২০২৩ সালের মধ্যে হংকং কনভেনশন মেনে চলার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ২০২৩ সালের মধ্যে নিরাপদ জাহাজ পুনর্ব্যবহার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নতুন পদক্ষেপেরও ঘোষণা করেছে। একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক শপিং ব্যাগ উৎপাদন নিষিদ্ধ করার উদ্যোগ নেয়া উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ প্রথম।