ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে নামে পরিচিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহাসড়কে টোল আদায়ে ধীরগতি দেখা গেছে।
এতে ধলেশ্বরী টোল প্লাজা থেকে কেরানীগঞ্জের আব্দুল্লাপুর পর্যন্ত মহাসড়কের কয়েক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে গাড়ির দীর্ঘ সারি দেখা গেছে। একই চিত্র চোখে পড়ে ভাঙ্গার বগাইল টোল প্লাজা এলাকাতেও।
সড়ক ও জনপথের (সওজ) কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন ও পদ্মা সেতু চালু হওয়ার কারণে গাড়ির সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় প্লাজার সামনে অনেক গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকছে।
এ ছাড়া সফটওয়্যারে টোল আদায় ও টাকা ভাংতিসংক্রান্ত ঝামেলার কারণে আদায় কাজের গতি কিছুটা কমেছে।
মুন্সীগঞ্জ সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী নাহিয়ান রেজা জানান, বৃহস্পতিবার রাত ১২টার মধ্যে টোল আদায়কারী সংস্থা কেইসিকে প্লাজা বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। এর পর থেকে তারাই টোল কালেকশন ও অপারেশন প্রক্রিয়া শুরু করে।
সাপ্তাহিক ছুটির দিন ও পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় এক্সপ্রেসওয়ের টোল প্লাজার কাছে মহাসড়কে গাড়ির সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। আগে প্রতিদিন গড়ে পাঁচ থেকে ছয় হাজার গাড়ি এই রোডে চলত, এখন চলে ২০ থেকে ৩০ হাজার গাড়ি। তাই টোল প্লাজার সামনে অনেক গাড়ি অপেক্ষায় রয়েছে। এর প্রভাব মহাসড়কের চার থেকে পাঁচ কিলোমিটারজুড়ে দেখা গেছে। তবে কয়েক দিন গেলে হয়তো গাড়ির এ চাপ কমবে বলেও জানান এ সওজ কর্মকর্তা।
এ ছাড়া টোল নেয়ার সময় টাকা ভাংতি করা নিয়েও ট্রাক-বাসচালকদের সঙ্গে তর্ক-বিতর্ক হওয়াতেও এক একটা গাড়ি থেকে টোল নিতে প্রায় ২ থেকে ৩ মিনিট সময় লাগছে। এ কারণেও গাড়ির সারি দীর্ঘ হচ্ছে।এর আগে বৃহস্পতিবার রাত ১২টা থেকে এক্সপ্রেসওয়েতে টোল আদায় শুরু হয়। ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের ধলেশ্বরী ও ভাঙায় দুটি টোল প্লাজা স্থাপন করা হয়েছে।
ধলেশ্বরী টোল প্লাজায় ১২টি বুথের মাধ্যমে টোল আদায় করা হচ্ছে। এ দিকে ভাঙ্গায় ১০টি বুথ সক্রিয় আছে বলে জানিয়েছে সওজ কর্তৃপক্ষ।