বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘সন্তানরা বাবাকে মিস করে না, এমন দিন দেখিনি’

  •    
  • ১ জুলাই, ২০২২ ১৪:১৪

দুই ছেলেমেয়ে প্রতি মুহূর্তে তাদের বাবাকে মিস করে বলে জানান সালাউদ্দিনের স্ত্রী রেমকিম। তিনি বলেন, ‘বাবার জায়গাটা আমি মা হয়ে শত চেষ্টা করেও পূরণ করতে পারি না। তারা বাবাকে মিস করে না, এমন কোনো দিন দেখিনি।’

হোলি আর্টিজানে জঙ্গিদের ছোড়া গ্রেনেডে পুলিশের দুই কর্মকর্তা নিহত হন। তাদের একজন বনানী থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালাউদ্দিন। অন্যজন ডিবির সহকারী কমিশনার রবিউল করিম।

হোলি আর্টিজানে হামলার ছয় বছর পূর্ণ হয়েছে শুক্রবার। দুপুরে গুলশানে এই দুই পুলিশ সদস্যের স্মৃতিতে নির্মিত ভাস্কর্য ‘দীপ্ত শপথ’-এ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে আসেন সালাউদ্দিনের স্ত্রী, ছেলে এবং শ্যালিকা।

২০১৬ সালে হোলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলায় ওসি সালাউদ্দিন মারা যাওয়ার সময় তার মেয়ে পড়ত ক্লাস সেভেনে আর ছেলে কেজি টু পাস করেছিল। ছয় বছর পর মেয়ে দেশের বাইরে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছেন আর ছেলে রাজধানীর একটি স্কুলে পড়ছে ষষ্ঠ শ্রেণিতে।

দুই ছেলেমেয়ে প্রতি মুহূর্তে তাদের বাবাকে মিস করে বলে জানান সালাউদ্দিনের স্ত্রী রেমকিম। তিনি বলেন, ‘বাবার জায়গাটা আমি মা হয়ে শত চেষ্টা করেও পূরণ করতে পারি না। তারা বাবাকে মিস করে না, এমন কোনো দিন দেখিনি।’

তিনি বলেন, ‘মৃত্যুবার্ষিকী বলে যে আমরা মিস করছি, সে রকম না। প্রতিদিনই আমরা তাকে মিস করি। আমার বাচ্চারা কীভাবে যে বেড়ে উঠেছে…।’

হোলি আর্টিজানে হামলার ছয় বছর পূর্তিতে শুক্রবার দুপুরে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস, পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে এসবি প্রধান মনিরুল ইসলাম, ডিএমপির পক্ষ থেকে কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম, র‌্যাবের পক্ষ থেকে মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, ওসি সালাউদ্দিনের পরিবার এবং বিভিন্ন ইউনিটের পুলিশ সদস্যরা ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।

২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে গুলশানের ৭৯ নম্বর সড়কের হোলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গিরা আগ্নেয়াস্ত্র ও গ্রেনেড নিয়ে হামলা চালায়। সেখানে নির্মম হত্যাযজ্ঞ চালায় তারা। বেকারিতে আসা দেশি-বিদেশি অতিথিদের বেছে বেছে হত্যা করতে শুরু করে, স্টাফদের রাতভর জিম্মি করে রাখে।রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে সেনাবাহিনীর প্যারা কমান্ডোদের নেতৃত্বে পুলিশ ও র‌্যাব যৌথ অভিযান চালায় ওই ভবনে। অভিযানের নাম দেয়া হয় ‘অপারেশন থান্ডারবোল্ট।

কমান্ডো অভিযানে মারা যান পাঁচ জঙ্গি। উদ্ধার করা হয় হোলি আর্টিজান বেকারিতে জিম্মি থাকা অতিথি ও স্টাফদের।

জঙ্গিদের হামলায় পুলিশের সহকারী কমিশনার রবিউল ইসলাম, ওসি সালাউদ্দিনসহ ২২ জন নিহত হন। বাকি নিহতদের মধ্যে ৯ জন ইতালির নাগরিক, সাতজন জাপানি, একজন ভারতীয় এবং একজন বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের দ্বৈত নাগরিক। বাকি দুইজন বাংলাদেশি নাগরিক।

হোলি আর্টিজানে হামলার পর দেশব্যাপী সাঁড়াশি অভিযানে নামে সিটিটিসি, র‌্যাবসহ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট। এসব অভিযানে একে একে শীর্ষ জঙ্গিদের একটা বড় অংশ মারা যান। বাকিরা ধরা পড়েন।

এ বিভাগের আরো খবর