যশোরের কেশবপুরে এক যুবকের গলা ও পেট কাটা দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় থানায় এখনও কোনো মামলা হয়নি। তবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচজনকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।
উপজেলার মজিদপুর গ্রামের ঋষিপাড়া থেকে বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
২৫ বছরের নিহত চঞ্চল দাস কেশবপুর বাজারে একটি সেলুনে কাজ করতেন।
কেশবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বোরহান উদ্দীন এসব তথ্য নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন।
চঞ্চলের বাবা কার্তিক দাস জানান, বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে বাড়ির পাশের একটি কলাবাগানে যান চঞ্চল। হঠাৎ তার চিৎকার শুনে ঘটনাস্থলে যায় স্থানীয়রা। সেখানে গলা ও পেট কাটা অবস্থায় চঞ্চলকে পড়ে থাকতে দেখেন তারা। তাকে কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে অবস্থার অবনতি হয়। এরপর খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান তিনি।
পুলিশ বলছে, ঋষিপাড়া মাঠে একই এলাকার ২০ বছরের সুদেব দাসের সঙ্গে চঞ্চলের প্রেমঘটিত বিষয় নিয়ে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে সুদেব চাকু বের করে চঞ্চলকে গলায় ও পেটে আঘাত করে পালিয়ে যায়।
ওসি বোরহান উদ্দীন বলেন, ‘মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় এখনও কোনো মামলা হয়নি। তবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচজনকে পুলিশ হেফাজতে নিয়েছে। হত্যার কারণ অনুসন্ধান করা হচ্ছে।’