ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে নামে পরিচিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহাসড়কে টোল আদায় করা শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাত ১২টা থেকে টোল আদায় শুরু হয়।
নিউজবাংলাকে তথ্য নিশ্চিত করেছেন মুন্সীগঞ্জ জোনের সড়ক ও জনপথের (সওজ) নির্বাহী প্রকৌশলী নাহিয়ান রেজা।
তিনি বলেন, ‘শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত প্রায় ৭ হাজার গাড়ি টোল দিয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার রাত ১২টার মধ্যেই আদায়কারী সংস্থা কোরিয়ান এক্সপ্রেসওয়ে করপোরেশনকে (কেইসি) টোল প্লাজা বুঝিয়ে দিয়েছে সওজ। এর পরেই টোল আদায় শুরু হয়।’
সওজ কর্তৃপক্ষ জানায়, মহাসড়কে টোল আদায়ে বুধবার অপারেটর কোরিয়ান এক্সপ্রেসওয়ে করপোরেশনের (কেইসি) সঙ্গে চুক্তি করে সওজ। দুটি টোল কালেকশন বুথ ধলেশ্বরী ও ভাঙা প্রান্তে করা হয়েছে। মহাসড়কটিতে চারটি টোল কালেকশন বুথ করার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত দুটি টোল প্লাজা স্থাপন করা হয়েছে।
ধলেশ্বরী টোল প্লাজা থেকে প্রায় এক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানবাহনের ধীরগতি দেখা গেছে। ছবি: নিউজবাংলাসরেজমিনে ধলেশ্বরী টোল প্লাজা থেকে প্রায় এক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানবাহনের ধীরগতি দেখা গেছে। ভিড় এড়াতে ও দুর্ঘটনা রোধে এরই মধ্যে এক্সপ্রেসওয়েতে মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধের প্রস্তাব করেছে সওজ।
এ দিকে ভাঙ্গার কাছেও বগাইল টোল প্লাজা থেকে বামনকান্দা পর্যন্ত দুই কিলোমিটার পর্যন্ত দীর্ঘ গাড়ির সারি দেখা যায়।
দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পর যাত্রীসহ গাড়ির চালকরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এক্সপ্রেসওয়ের স্বাদটুকু টোল প্লাজায় এসে মিটে গেল। ঢাকা থেকে যতক্ষণে ভাঙ্গায় এসেছেন, ততক্ষণ তাদের টোলের অপেক্ষায় থাকতে হয়েছে।
ব্যতিগত গাড়ি নিয়ে খুলনা যাচ্ছেন আজিম ফাহমি। তিনি বলেন, ‘এক্সপ্রেসওয়েতে অনেক দ্রুত গাড়ি চালিয়ে আসছি, কিন্তু টোল প্লাজায় এসে অনেকটা সময় বসে থাকতে হয়েছে।
ভাঙ্গার বগাইল টোল প্লাজা থেকে বামনকান্দা পর্যন্ত দুই কিলোমিটার পর্যন্ত গাড়ির সারি দেখা যায়। ছবি: নিউজবাংলাদ্রুত এই টোল প্লাজার সমস্যা সমাধান করা, না হলে এক্সপ্রেসওয়ে দ্রুত চলার সুবিধা ফিকে হয়ে যাবে। পদ্মা সেতুতে গিয়ে সব টোল এক সঙ্গে আদায় করা হলে আরও ভালো হতো।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে টোল আদায় অ্যাডমিন ইনচার্জ আবু সাঈদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘গতরাত থেকেই আমাদের টোল আদায় শুরু হয়েছে। টোল আদায়ের জন্য সবগুলো বুথ এখনও চালু করা সম্ভব হয়নি, তাই একটু দেরি হচ্ছে। ১১টি বুথের মধ্যে মাত্র ৩টি চালু আছে। আমরা চেষ্টা করছি সবগুলো বুথ চালু করতে। তখন দ্রুত টোল দিয়ে গাড়িগুলো যেতে পারবে।’
বৃহস্পতিবার সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ এক্সপ্রেসওয়ের অন্তর্বর্তী টোলের প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। বড় ট্রাকে ১ হাজার ১০০, মাঝারি ট্রাকে ৫৫০, বড় বাসে ৪৯৫, মিনি ট্রাকে ৪১৫, মিনিবাসে ২৭৫, মাইক্রোবাসে ২২০, প্রাইভেট কারে ১৪০ এবং মোটরসাইকেলে ৩০ টাকা টোল দিতে হবে বলা থাকলেও যানবাহনের আকার ভেদে সর্বোচ্চ ১০১৫ টাকা এবং সর্বনিম্ন ২০ টাকা টোল আদায় করা হচ্ছে।গত মঙ্গলবারের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছিল, নীতিমালা অনুযায়ী যথাসময়ে চূড়ান্ত টোল নির্ধারণ হবে। এদিকে হাইকোর্টকে সওজ জানায়, এক্সপ্রেসওয়েতে টোল আদায় শুরু হওয়ায় ১ জুলাই থেকে পোস্তগোলা, ধলেশ্বরী ও আড়িয়াল খাঁ সেতুতে টোল দিতে হবে না। চুক্তিসই অনুষ্ঠানে ছয়টি এন্ট্রি ও এক্সিট পয়েন্টের দূরত্বের ভিত্তিতে টোলের হিসাব দেয়া হয়।