বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

হাইকোর্টে শুনানির অপেক্ষায় হোলি আর্টিজান মামলা

  •    
  • ১ জুলাই, ২০২২ ০০:৫৭

অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘যেহেতু দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করার একটি চক্রান্ত ছিল, সে কারণে নিম্ন আদালতে মামলাটি দ্রুত শেষ হয়েছে। হাইকোর্টেও অগ্রাধিকার ভিত্তিতে মামলাটি শুনানির জন্য আবেদন করব।’

ছয় বছর আগে গুলশানের হোলি আর্টিজান বেকারিতে হামলা মামলায় বিচারিক আদালতে সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের জেল আপিল ও ডেথ রেফারেন্স শুনানির জন্য পেপারবুক (মামলার বৃত্তান্ত) এরই মধ্যে প্রস্তুত হয়েছে। এখন বেঞ্চ নির্ধারণ হলেই মামলাটি শুনানির জন্য উঠবে।

রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তিনি মামলাটি দ্রুত শুনানির ব্যবস্থা করতে প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদন জানাবেন।

এ মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি জানতে পেরেছি মামলার পেপারবুক প্রস্তুত হয়েছে। যেহেতু এটি একটি ‍স্পর্শকাতর মামলা, এটি দ্রুত শুনানির জন্য হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ নির্ধারণ করে দিতে প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদন করব। মামলাটি মাত্র ২০২০ সালের। তবু এটি যেহেতু স্পর্শকাতর, সে কারণে প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদন করব বেঞ্চ ঠিক করে দিতে।’

আসামিপক্ষে আইনজীবী না থাকলে রাষ্ট্রীয় আইনজীবী নিয়োগ দেয়া হবে বলেও তিনি জানান।

অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘যেহেতু দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করার একটি চক্রান্ত ছিল, সে কারণে নিম্ন আদালতে মামলাটি দ্রুত শেষ হয়েছে। হাইকোর্টেও অগ্রাধিকার ভিত্তিতে মামলাটি শুনানির জন্য আবেদন করব।’

এর আগে ২০২০ সালের ১৭ আগস্ট হোলি আর্টিজান মামলার পেপারবুক বিজি প্রেস থেকে প্রস্তুত হয়ে হাইকোর্টে আসার খবর জানিয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টের বিশেষ কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুর রহমান।

নিয়ম অনুযায়ী ফৌজদারি মামলায় বিচারিক আদালত যখন আসামিদের মৃত্যুদণ্ড দেয়, তখন ওই দণ্ড কার্যকরের জন্য হাইকোর্টের অনুমোদনের প্রয়োজন হয়। এ জন্য সংশ্লিষ্ট বিচারিক আদালত ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৭৪ ধারা মোতাবেক মামলার সব নথি হাইকোর্টে পাঠিয়ে দেয়, যা ডেথ রেফারেন্স নামে পরিচিত। ওই নথি আসার পর সুপ্রিমকোর্ট প্রশাসন তা পেপারবুক আকারে প্রস্তুত করে শুনানির জন্য।

রাজধানীর গুলশানে হোলি আর্টিজান বেকারিতে ২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে হামলা চালায় জঙ্গিরা। এ হামলায় বিদেশি নাগরিকসহ ২২ জন নিহত হন। ২০১৯ সালের ২৭ নভেম্বর বিচারিক আদালত মামলার রায় ঘোষণা করে। রায়ে সাত জঙ্গিকে ফাঁসির আদেশ দেয় আদালত।

এরপর ওই বছরের ৫ ডিসেম্বর মামলার রায়ের কপি উচ্চ আদালতে পাঠায় বিচারিক আদালত। জেল আপিল দায়ের করে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাত আসামি।

হাইকোর্টে ডেথ রেফারেন্স ও জেল আপিল শুনানির জন্য নিয়ম অনুযায়ী পেপারবুক তৈরি করতে হয়। পেপারবুক তৈরি হলে প্রধান বিচারপতি মামলার শুনানির জন্য বেঞ্চ নির্ধারণ করে দিলে সেখানে মামলার শুনানি হয়।

হলি আর্টিজান মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- জাহাঙ্গীর হোসেন, আসলাম হোসেন র‌্যাশ, মো. হাদিসুর রহমান, রাকিবুল হাসান রিগ্যান, মো. আব্দুল সবুর খান, শরিফুল ইসলাম খালেক ও মামুনুর রশীদ রিপন। প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানাও করা হয়।

মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় অপর আসামি মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান খালাস পায়।

এ বিভাগের আরো খবর