যুক্তরাষ্ট্র থেকে অনেক রোগী বাংলাদেশে চিকিৎসা নিতে আসে বলে দাবি করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, ‘দেশের চিকিৎসাব্যবস্থা অনেক ভালো। বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা এখন অনেক এগিয়ে গেছে। আমেরিকা থেকেও অনেক মানুষ আমার এখানে চিকিৎসা নেয়ার জন্য আসে।’
জাতীয় সংসদ অধিবেশনে ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট পাসের আগে বৃহস্পতিবার রাতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দের ওপর আনা মঞ্জুরি দাবির আলোচনায় বিরোধীদলীয় সংসদ সদস্যদের বক্তব্যের জবাবে মন্ত্রী এ দাবি করেন।
তিনি বলেন, ‘এমন অনেক রোগী আছে যারা ভালো চিকিৎসা না পেয়ে এ দেশে আসে চিকিৎসা নেয়ার জন্য। এখানে অনেক চিকিৎসা যেমন দাঁতের চিকিৎসা, পেটের চিকিৎসা সব বাংলাদেশে নেয়ার জন্য আসে।’
বিএনপিদলীয় সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানার ‘প্রতি বছর ৮-১০ লাখ মানুষ শুধু ভারতে চিকিৎসা নিতে যায়’ বক্তব্যের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কোভিডকালীন যখন কেউ বিদেশে যেতে পারেনি, তখন এই ১৭ কোটি লোকের চিকিৎসা এই বাংলাদেশে হয়েছে। বাইরে কাউকে যেতে হয়নি। তবে কিছু লোক যদি বাইরে যায়, তাদের তো আমরা এখানে ধরে রাখতে পারব না।
‘যত ভালো সেবাই হোক, এখানে সেবা নেবে না তারা। তারা আমেরিকা যাবে, ইউরোপে যাবে, সিঙ্গাপুর যাবে। এটা স্বাভাবিক। তবে আমেরিকা থেকেও অনেক রোগী ভালো চিকিৎসা না পেয়ে বাংলাদেশে আসে।’
করোনা ভ্যাকসিন দিতে ৪৫ হাজার কোটি টাকা
করোনা অতিমারি নিয়ন্ত্রণে দেশের মানুষকে নিরাপদে রাখতে প্রায় ৪৫ হাজার কোটি টাকার ভ্যাকসিন সংগ্রহ করা হয়েছে বলে সংসদে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। বলেন, ‘আমরা নিজেদের অর্থায়নে ভ্যাকসিন দিয়েছি প্রায় ১৭ হাজার কোটি ডোজ। সব মিলিয়ে ভ্যাকসিন দিতে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা লেগেছে আমাদের নিজস্ব অর্থায়নে। আর বিদেশ থেকে ১০ কোটি ভ্যাকসিন বিনা মূল্যে পেয়েছি। তার দাম প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা।
‘প্রায় ৪৫ হাজার কোটি টাকার ভ্যাকসিন দিতে হয়েছে। এটাও দেশের অর্জন, প্রধানমন্ত্রীর অর্জন। কোনো দেশ ১০ কোটি ভ্যাকসিন পায়নি, যেটা বাংলাদেশ পেয়েছে।’
করোনা বেড়ে যাওয়ার বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সব সময় বলেছি আপনারা সতর্ক হন। এখন করোনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। গতকাল কিছু নির্দেশনাও দিয়েছি। শিশু ভ্যাকসিনের বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছি। পাঁচ বছর থেকে ১২ বছর শিশুদের ভ্যাকসিন সংগ্রহ করা হয়েছে। ডব্লিউএইচও থেকে ভ্যাকসিন পাওয়ার সম্ভাবনা আছে এবং সেটা আমার শিশুদের দেয়ার ব্যবস্থা হাতে নিয়েছি। জুলাইয়ের শেষ দিকে শিশুদের ভ্যাকসিন দিতে সক্ষম হব।’