নিষিদ্ধ মৌসুমে সুন্দরবনের খালে বিষ দিয়ে শিকার করা ১ হাজার ৫০০ কেজি চিংড়ি মাছ জব্দ করা হয়েছে।
এর সঙ্গে জড়িতদের মধ্য থেকে সাতজনকে আটক করা হয়েছে।
খুলনার কয়রা উপজেলার মাদারবাড়িয়া বটতলা থেকে বৃহস্পতিবার ভোরে তাদের আটক করা হয়। পরে আটক ব্যক্তিদের স্থানীয় মহারাজপুর ইউনিয়ন পরিষদে নেয়া হয়।
আটক ব্যক্তিরা হলেন খুলনার কয়রা উপজেলার ৪ নম্বর কয়রা গ্রামের মোস্তফা সানা, মিজানুর রহমান, আছাদুল ইসলাম, আছাদুল ইসলাম, মঠবাড়িয়া গ্রামের আনারুল, মহারাজপুর গ্রামের সাইফুল্লাহ গাজী, মিলন গাজী।
এ ছাড়া একই গ্রামের বাসার সানা পালিয়ে গেছেন।
মহারাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জানান, বৃহস্পতিবার ভোরে কয়েকটি নসিমনে করে মাছ নিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়রা তাদের আটক করেন। খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে চিংড়ি মাছবোঝাই চারটি নসিমন জব্দ করা হয়। পরে উপজেলা মৎস্য অফিস এবং স্থানীয় প্রশাসনকে জানানো হয়।
তিনি বলেন, ‘১ জুন থেকে সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সেখানে প্রবেশে তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বন বিভাগ। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে স্থানীয় দুষ্কৃতিকারীরা সুন্দরবনের খালে বিষ দিয়ে মাছ শিকার অব্যাহত রেখেছেন।’
চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘আটক ব্যক্তিদের স্বীকারোক্তিতে জানা গেছে মাছগুলো সুন্দরবনের মাছ ব্যবসায়ী লুৎফর রহমানের। তার নির্দেশে এ মাছ আড়তে বিক্রির উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।’
জব্দ করা চিংড়ি। ছবি: নিউজবাংলা
লুৎফর রহমান বলেন, ‘সুন্দরবনকেন্দ্রিক কোনো ব্যবসার সঙ্গে আমার সম্পৃক্ততা নেই। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে চেয়ারম্যান আমাদের নাম বলছেন।
‘তিনি মাছ ধরার নামে আমাদের ইউনিয়নের মানুষকে ব্যাপক মারপিট করেছে। তিনি মাছ ধরে প্রশাসের হাতে দিক, মারপিট কেন করবেন।’ তিনি এর সঠিক বিচার দাবি করেন।
কয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনিমেষ বিশ্বাস বলেন, ‘আটকদের পুলিশের মাধ্যমে আদালতে পাঠানো হয়েছে।’