বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শিক্ষক হত্যা-লাঞ্ছনায় প্রতিবাদ চবি শিক্ষকদের

  •    
  • ৩০ জুন, ২০২২ ১৫:৫৩

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. সজীব কুমার ঘোষ বলেন, ‘কোন সমাজের দিকে যাচ্ছি আমরা। আমরা সবাই শিক্ষক, জাতির এই ক্রান্তিলগ্নে আমাদেরও করণীয় আছে। মানববন্ধন থেকে আমরা এই ঘটনাগুলোর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।’

মান ও মর্যাদার জন্য শিক্ষকতায় এসেছি, এখন দেখি জীবনও নেই বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্বদ্যিালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. আনোয়ার সাইদ।

তিনি বলেন, ‘অনেক দিন আগে সত্যজিৎ রায়ের ‘হীরক রাজার দেশে’ সিনেমা দেখেছিলাম। সেখানে হীরক রাজা সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়ে বলেছিলেন, বিদ্যাশিক্ষা লোকসান, এতে নাই অর্থ, নাই মান।’

সাভারে শিক্ষক হত্যা ও নড়াইলে শিক্ষকের গলায় জুতার মালা পরানোর ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে বৃ্হস্পতিবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত মানববন্ধন করে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়টির বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. সজীব কুমার ঘোষের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে শিক্ষকরা ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। একই সঙ্গে শিক্ষকদের নিরাপত্তা ও সঠিক মর্যাদা নিশ্চিতের আহ্বান জানান।

মানববন্ধনে শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. সেলিনা আখতার বলেন, ‘সাভারে শিক্ষককে পিটিয়ে হত্যা করা হলো, অথচ মারধরের সময় কেউ তাকে বাঁচাতে এগিয়ে এলো না।

‘অন্যদিকে নড়াইলে স্বপন কুমার বিশ্বাস পরিস্থিতি শান্ত করতে পুলিশকে ফোন দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে কীভাবে পারল একটা কলেজের অধ্যক্ষকে এভাবে নির্যাতন করতে।’

তিনি আরও বলেন, ‘কল্পনা করুন, শিক্ষকের গলায় জুতার মালা দিয়েছে, তার ছবি তোলা হচ্ছিল, এ সময় তিনি মুখটা বন্ধ করে রেখেছিলেন। সেখানে আশপাশে পুলিশ সদস্য ছিল, তারা একনিষ্ঠভাবে তাকিয়ে ছিলেন কিন্তু কিছু করেননি।

‘পুলিশ কীভাবে সহ্য করল একজন অধ্যক্ষকে এভাবে অপমান করা। আমি ধিক্কার জানাই ওই কলেজের সবাইকে। এসব সহ্য করতে পারছি না। এসব ঘটনার বিচার চাই দ্রুত।’

সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক সিরাজ উদ দৌল্লাহ বলেন, ‘ছাত্ররা কেন উদ্ধত হয়ে যাচ্ছে এর বিশ্লেষণ প্রয়োজন। যে ছাত্ররা এইসব ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনতে হবে। তারা একজনের জীবন নিয়েছে (উৎপল কুমার বিশ্বাস), আরেকজনকে জীবন্ত রেখেও মৃত বানিয়ে ফেলেছে।

‘যাদের জন্য এইসব ঘটনা ঘটেছে তাদেরকেও আইনের আওতায় আনতে হবে। আইন সব দেশেই আছে। আইনের যথার্থ বাস্তবায়ন না হলে অরাজকতার সৃষ্টি হয়। আমার মনে হয় আমাদের দেশেও তাই হচ্ছে।’

একজন শিক্ষক যদি অপদস্থ হয়, সমগ্র জাতি অপদস্থ হয়। বঙ্গবন্ধু শিক্ষকদের অনেক মর্যাদা দিতেন। শিক্ষকের মর্যাদা রক্ষিত হোক আর ওই কুলাঙ্গারদের ফাঁসি নিশ্চিত করা হোক বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্বদ্যিালয়ের ইংরেজি বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. সুকান্ত ভট্টাচার্য।

মানববন্ধনে রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক তাপসী ঘোষ বলেন, ‘মহান শিক্ষকতাকে পেশা পছন্দ করেছি। কিন্তু যখন দেখি, শিক্ষক ছাত্রের হাতে নিগৃহীত হচ্ছেন, তখন ঘৃণা ও লজ্জায় মুখ কোথায় রাখি।’

শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. সজীব কুমার ঘোষ বলেন, ‘কোন সমাজের দিকে যাচ্ছি আমরা। আমরা সবাই শিক্ষক, জাতির এই ক্রান্তিলগ্নে আমাদেরও করণীয় আছে। মানববন্ধন থেকে আমরা এই ঘটনাগুলোর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।’

এ বিভাগের আরো খবর