ঢাকা থেকে পটুয়াখালীগামী লঞ্চের কেবিন থেকে এক যাত্রীর ব্যাগ চুরি নিয়ে হৈ চৈ শুরু হয়েছে। লঞ্চের সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে এই চুরির ঘটনাটি। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ঢাকার সদরঘাট থেকে পটুয়াখালীর উদ্দেশে ছেড়ে আসার প্রায় ২০ মিনিট আগে বিলাসবহুল সুন্দরবন-৯ লঞ্চের ২১৯ নং কেবিনে ওই চুরির ঘটনাটি ঘটে।
পটুয়াখালী শহরের কাঠপট্টি এলাকার বিএনএসবি চক্ষু হাসপাতালের সহ-সভাপতি মো. আবু নাইম জানান, তার স্ত্রী ইসমত আরা ঢাকার সদরঘাট থেকে পটুয়াখালী আসার পথে সুন্দরবন-৯ লঞ্চের ২১৯ নম্বর কেবিনে প্রবেশ করে মালামাল রাখেন। পরে কেবিনটি তালা মেরে লঞ্চের দোতলার সামনের অংশে গিয়ে তিনি মেয়ের জামাইকে বিদায় জানান।
মাত্র ১০ থেকে ১২ মিনিট পর কেবিনের তালা খুলে ভেতরে প্রবেশ করে হাতের পার্স (হাত ব্যাগ) না পেয়ে চিৎকার শুরু করেন ইসমত আরা। এক পর্যায়ে তিনি কান্নাকাটি শুরু করলে লঞ্চের সুপারভাইজারসহ অন্যান্য স্টাফ ও যাত্রীরা ঘটনাস্থলে আসেন। তাদের কাছে পুরো বিষয়টি খুলে বলেন ভুক্তভোগী।
স্ত্রীর বরাতে আবু নাইম জানান, ঘটনা শুনে লঞ্চের সুপারভাইজার কেবিনের পাশের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে চুরির বিষয়ে নিশ্চিত হন। চুরি যাওয়া ব্যাগটিতে ২ ভরি ওজনের একটি স্বর্ণের চেইন, নগদ আনুমানিক ৩০ হাজার টাকা, জাতীয় পরিচয়পত্র এবং একটি মোবাইলসহ অন্যান্য কাগজপত্র ছিল।
বুধবার ভোরে ওই লঞ্চটি পটুয়াখালী পৌঁছায়। পরে দুপুরে সুন্দরবন লঞ্চ কোম্পানির মালিক সাইদুর রহমান রিন্টু মিয়া জানান, ভিডিও ফুটেজটি সদরঘাট নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জকে দেয়া হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, খুব দ্রুত চুরির সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।
আবু নাইম অভিযোগ করেন, ৭/৮ বছর আগেও তার এক নিকটাত্মীয়ের একটি ব্রিফকেস চুরি হয়েছিল লঞ্চের কেবিন থেকে। কিন্তু সেটির খোঁজ মেলেনি আজও।
তিনি বলেন, ‘আমরা সবসময় এই লঞ্চে আসা যাওয়া করি। লঞ্চের কেবিন বয় কিংবা স্টাফরা জড়িত না থাকলে বাইরের কেউ এভাবে কেবিনের জানালা খুলে চুরি করার সাহস রাখে না।’
তবে এ ঘটনায় লঞ্চের কোনো স্টাফ জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করে সুন্দরবন-৯ লঞ্চের সুপারভাইজার মেহেদি হাসান সুমন বলেন, ‘এটি একটি অনাকাঙ্খিত ঘটনা। কারণ বরিশাল বিভাগে সুন্দরবন লঞ্চ কর্তৃপক্ষ যাত্রীদের সর্বোচ্চ সেবা দেয়। এই চুরির ঘটনা আমাদেরকেও হতবাক করেছে।’
বিষয়টি প্রশাসনকে জানানো হয়েছে বলেও জানান সুপারভাইজার।