বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রাষ্ট্রপতিকে পরিচয়পত্র দিলেন দুই রাষ্ট্রদূত

  •    
  • ২৯ জুন, ২০২২ ২১:৩১

ঢাকায় অস্ট্রিয়া ও লিবিয়ার নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত পরিচয়পত্র দেয়ার সময় রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন, দায়িত্ব পালনকালে তারা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক সম্প্রসারণের প্রতিটি ক্ষেত্র কাজে লাগাতে আন্তরিক চেষ্টা করবেন।

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের হাতে পরিচয়পত্র তুলে দিয়েছেন ঢাকায় অস্ট্রিয়ার নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত কাথারিনা ভাইসার এবং লিবিয়ার নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত আবদুল মুতালেব সুলিমান মোহাম্মেদ সুলিমান।

দুই রাষ্ট্রদূত বুধবার বিকেলে বঙ্গভবনে পৌঁছলে প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের একটি চৌকস দল তাদেরকে গার্ড অফ অনার দেয়।

প্রথমে পরিচয়পত্র পেশ করেন অস্ট্রিয়ার রাষ্ট্রদূত। তাকে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘স্বাধীনতার পর বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়া দেশগুলোর মধ্যে অস্ট্রিয়া অন্যতম।

রাষ্ট্রপতি বলেন, এ বছর দুই দেশ কুটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন করছে। দুই দেশের বিরাজমান সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি আশাপ্রকাশ করে বলেন, আগামীতে এ সম্পর্ক বাণিজ্য-বিনিয়োগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে আরও সম্প্রসারিত হবে।

এ লক্ষ্যে দু’দেশের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ে যোগাযোগ ও সফর বিনিময়ের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি। স্বল্পোন্নত দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার পরও অস্ট্রিয়ার বাণিজ্য সহযোগিতা ও সার্বিক সমর্থন প্রত্যাশা করেন আবদুল হামিদ।

রোহিঙ্গা ইস্যুতে সহযোগিতায় অস্ট্রিয়া সরকারকে ধন্যবাদ জানান রাষ্ট্রপতি। তিনি আশা প্রকাশ করেন, রোহিঙ্গাদের সম্মানজনক প্রত্যাবর্তনে ভবিষ্যতেও তাদের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে এবং এ ব্যাপারে মিয়ানমারের ওপর চাপ প্রয়োগ অব্যাহত রাখবে।

বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস সংক্রমণের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশকে ভ্যাকসিন দিয়ে সহযোগিতার জন্য অস্ট্রিয়া সরকারকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান রাষ্ট্রপ্রধান।

লিবিয়ার রাষ্ট্রদূত আবদুল মুতালেব সুলিমান মোহাম্মেদ সুলিমান বুধবার বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতিকে পরিচয়পত্র দেন। ছবি: বঙ্গভবন

এরপর পরিচয়পত্র পেশ করেন লিবিয়ার রাষ্ট্রদূত। নতুন দূতকে স্বাগত জানিয়ে মো. আবদুল হামিদ বলেন, বাংলাদেশ ও লিবিয়ার মধ্যে বহুমাত্রিক ও চমৎকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে।

তিনি বলেন, এ সম্পর্ককে ব্যবসা-বাণিজ্যসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সম্প্রসারণের যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। তাই সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে সফর বিনিময়ের ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশ তৈরি পোশাক, ওষুধ, পাট ও চামড়াজাত পণ্য, প্লাস্টিক সামগ্রীসহ বিশ্বমানের পণ্য উৎপাদন করে থাকে। লিবিয়া এসব পণ্য আমদানির মাধ্যমে লাভবান হতে পারে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, লিবিয়ার সংকটময় সময়েও সেখানে কর্মরত বাংলাদেশিরা নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সঙ্গে সেবা দিয়েছে।

বাংলাদেশ থেকে কৃষি, তথ্য-প্রযুক্তি, স্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন সেক্টরে দক্ষ কর্মী নিয়োগের মাধ্যমে লিবিয়া জনশক্তির চাহিদা পূরণ করতে পারে বলেও মনে করেন রাষ্ট্রপ্রধান। লিবিয়ায় কর্মরত বাংলাদেশিদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে নতুন দূতের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

রাষ্ট্রপতির আশা, দায়িত্ব পালনকালে দুই দেশের নতুন দূত দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক সম্প্রসারণের প্রতিটি ক্ষেত্রকে কাজে লাগাতে আন্তরিক চেষ্টা করবেন।

নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতেরা বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে নিজ নিজ দেশের বিদ্যমান সম্পর্ক জোরদারে সার্বিক প্রয়াস অব্যাহত রাখবেন।

বাংলাদেশে দায়িত্ব পালনে রাষ্ট্রপতির সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন তারা।

পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়াসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের আরো খবর