সাতক্ষীরার কলারোয়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় করা অস্ত্র ও বিস্ফোরক মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়েছে।
বুধবার দুপুরে সাতক্ষীরা বিশেষ ট্রাইব্যুনাল আদালত ৩-এর বিচারক বিশ্বনাথ মন্ডলের আদালতে দুই মামলায় একজনের সাক্ষীর সাক্ষ্য নেয়া হয়। এ সময় মামলার আসামি সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ৪০ জন আসামি উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এসএম মুনীর। তাকে সহায়তা করেন সহকারি অ্যাটর্নি জেনারেল শাহীন মৃধা ও সাতক্ষীরা আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আব্দুল লতিফ। এ ছাড়া আসামি পক্ষে ছিলেন আব্দুল মজিদ।
আইনজীবী আব্দুল লতিফ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় করা অস্ত্র ও বিস্ফোরক মামলায় একজনের সাক্ষ্য নেয়া হয়েছে। মামলার পরবর্তী তারিখ ১৪ জুলাই ঠিক করেছে আদালত।’
অভিযোগ গঠনের মধ্যে দিয়ে ১৬ জুন গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় অস্ত্র আইনে করা মামলার বিচার শুরু হয়। এ ছাড়া ওই দিন বিচারক একই সঙ্গে বিস্ফোরক মামলার সাক্ষ্য নেয়ার কথাও জানান।
যশোর-সাতক্ষীরা সড়কে সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা হয়। এ ঘটনায় সাবেক সংসদ সদস্য মুজিবুর রহমানসহ বেশ কয়েকজন আহত হন।ওই দিনই কলারোয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোসলেম উদ্দিন মামলা করেন। এ মামলায় তদন্ত শেষে হাবিবুল ইসলামসহ ৫০ জনের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগে বলা হয়, শেখ হাসিনাকে হত্যা করতেই এই হামলা হয়েছে।এই মামলার দণ্ডবিধি ধারায় (হামলা মামলা) ২০২১ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি ৫০ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেন বিচারক।
২০১৭ সালের ১০ জুন বিস্ফোরক আইনে করা মামলার অভিযোগ গঠন করা হয়।