ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে বাড়ির ছাগল বিক্রি করতে গেলে জার্মান মিয়া নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ ওঠে তার ছোট ভাইয়ের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় বাবার করা একটি মামলায় অভিযুক্ত সিয়ামকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জেলার গৌরীপুর পৌর এলাকা থেকে সিয়ামকে গ্রেপ্তার করা হয়। ১৯ বছর বয়সী সিয়াম মিয়া ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার নওয়াপাড়া গ্রামের নোমান মিয়ার ছেলে।
নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ময়মনসিংহ র্যাব-১৪ সদর দপ্তরের কোম্পানি অধিনায়ক মেজর আখের মুহম্মদ জয়।
মামলার বরাত দিয়ে র্যাব অধিনায়ক বলেন, ‘জার্মান নিয়মিত মাদক সেবন করতেন। গত ২১ জুন রাত ১০টার দিকে তিনি মাদকের টাকা জোগাড় করতে বাড়িতে থাকা একটি ছাগল নিয়ে যেতে চাইলে বাধা দেন ছোট ভাই সিয়াম।
এ নিয়ে দুজনের মধ্যে প্রথমে কথা-কাটাকাটি হয়। পরে হাতাহাতির একপর্যায়ে দা দিয়ে জার্মানের বুকের বাম পাশে সজোরে কোপ দেন সিয়াম।
এ সময় গুরুতর আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে মা চম্পা, চাচি আম্বিয়া খাতুনসহ আশপাশের মানুষ জার্মানকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা হন। কিন্তু পথেই রাত ১২টার দিকে জার্মানের মৃত্যু হয়। পরে পুলিশ মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। ঘটনার পর পরই নিহতের ছোট ভাই সিয়াম বাড়ি থেকে পালিয়ে যান।
মেজর আখের মুহম্মদ জয় আরও জানান, জার্মানকে হত্যার ঘটনায় গত ২২ এপ্রিল তার বাবা নোমান মিয়া ঈশ্বরগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন। পরে র্যাব এ ঘটনাটি নিয়ে ছায়া তদন্ত শুরু করে।
বুধবার দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পালিয়ে থাকা সিয়ামের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করে র্যাব।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি পীরজাদা শেখ মোহাম্মদ মোস্তাছিনুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘গ্রেপ্তার সিয়ামকে বিকেল ৪টার দিকে আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছে র্যাব। আজ অথবা আগামীকাল তাকে ময়মনসিংহ মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে পাঠানো হবে।’