ঈদুল আজহা সামনে রেখে নাশকতার আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
ঈদ উপলক্ষে সারা দেশে যথেষ্ট গোয়েন্দা নজরদারি থাকবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
ঈদুল আজহা উপলক্ষে সচিবালয়ে বুধবার সার্বিক আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখা এবং শিল্পাঞ্চলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সভা শেষে ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান মন্ত্রী।
ঈদ ঘিরে নাশকতার শঙ্কা আছে কি না জানতে চাইলে আসাদুজ্জামান বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ঈদে নাশকতার আশঙ্কার খবর আসেনি। না এলেও গোয়েন্দারা সজাগ থাকবে।
‘এ বছর ঘরমুখো মানুষের নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ সড়কের মোড়ে ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণ করে বাইনোকুলার ও সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, পকেটমারসহ অন্যান্য দুষ্কৃতকারীর যাতে নিয়ন্ত্রণ করা যায়, সে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এ বছর বাস, লঞ্চ, ট্রেন ও ফেরিঘাট ছাড়াও পদ্মা সেতুর দুই পাড়ে গোয়েন্দা নজরদারি থাকবে।’
তিনি বলেন, ‘ঈদযাত্রা যানজটমুক্ত করতে সারা দেশে হাইওয়ে পুলিশের ১০৯টি টহল দল, ৮৪টি কুইক রেসপন্স দলসহ ওয়াচ টাওয়ার, রেকার ও অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা থাকবে। ঈদের ছুটিতে মহানগর, জেলা, উপজেলায় হাটবাজারে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, সন্ত্রাসী কার্যকলাপ প্রতিরোধে পুলিশ, র্যাব ও গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করা হবে। কোনো পশুবাহী নৌযান বা ট্রাককে জোরপূর্বক কোনো নির্দিষ্ট স্থানে বা হাটে যেতে বাধ্য করা যাবে না।
‘ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ১০টি ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১২টিসহ সারা দেশে ৪ হাজার ৪০৭টি পশুর হাট বসবে। সংখ্যা হয়তো দু-একটা বেশিকম হতে পারে। হাটগুলোতে প্রয়োজন অনুযায়ী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী থাকবে। পশুর হাটের টাকা পুলিশের সহযোগিতায় বহন করতে পারবেন ব্যবসায়ীরা।’
পশুর হাটে প্রবেশের ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরতে হবে বলেও জানান মন্ত্রী।
মহাসড়ক ও সড়কে পশুর হাট বসবে না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘পশুর হাটে মাস্ক পরে ঢুকতে হবে এবং স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। সারা দেশে ৪৫ হাজার মাঠে বা ময়দানে এবং ৫০ হাজারের মতো মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
‘জামাতে অংশগ্রহণকারী মুসল্লিদের মাস্ক পরিধান করতে হবে এবং সরকার কর্তৃক জারীকৃত স্বাস্থ্য নির্দেশিকা পালন করতে হবে।’
ঈদের আগে পোশাক কর্মীদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করতে বলা হয়েছে বলেও জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘ঈদের আগেই পোশাক শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধের জন্য বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে এবং কর্তৃপক্ষ আশ্বস্ত করেছে সরকারকে। পোশাক শ্রমিকদের ছুটি পর্যায়ক্রমে দেয়া হবে। তবে কোন তারিখ থেকে ছুটি দেয়া হবে, তা নির্ধারণ করা হয়নি। কোনো স্বার্থান্বেষী মহল যাতে গুজব বা উসকানি দিয়ে শিল্প এলাকায় কোনো নাশকতা করতে না পারে, সে জন্য গোয়েন্দা নজরদারি থাকবে।
‘কাঁচা চামড়া বিদেশে যাতে পাচার না হতে পারে, সেদিকেও নজরদারি থাকবে। পোশাক কারখানার সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের শাখা ৮ ও ৯ জুলাই এবং চাঁদ দেখা সাপেক্ষে বাংলাদেশ ব্যাংক তাদের ঘোষণায় জানিয়ে দেবে। ঈদে যেকোনো নাশকতা প্রতিরোধে সারা দেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হবে।’