বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পদ্মা সেতুর টাকাতেই উচ্চক্ষমতার বিদ্যুৎ সঞ্চালনের পিলার

  •    
  • ২৯ জুন, ২০২২ ১৩:১৬

সেতুসংশ্লিষ্টরা বলছেন, কাঠামো স্টিলের হওয়ায় সেখান দিয়ে ৪০০ কেভি হাইভোল্টেজ বিদ্যুৎ লাইন টানা সম্ভব নয়। তাই মূল সেতু থেকে দুই কিলোমিটার ভাটিতে আলাদা করে সাতটি পিলার নির্মাণ করে বিদ্যুতের তার টানা হচ্ছে।

স্বপ্নের পদ্মা সেতুর মাধ্যমে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে স্থাপন হয়েছে ঢাকার সরাসরি সড়ক যোগাযোগ। একই সঙ্গে এই প্রকল্পের মাধ্যমেই তৈরি হচ্ছে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ৪০০ কেভি বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন।

এ লক্ষ্যে সেতু থেকে দুই কিলোমিটার ভাটিতে ইতোমধ্যে আলাদা সাতটি পিলার নির্মাণ শেষ করেছে চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান, তবে এর জন্য সরকারের আলাদা কোনো অর্থ খরচ হয়নি।

মূল সেতুর জন্য বরাদ্দ ১২ হাজার কোটি টাকা থেকেই নদীর গভীরের এই পিলারগুলো তৈরি হয়েছে। সর্বশেষ পিলারটি ৯ জুন সেতু বিভাগ হস্তান্তর করেছে বিদ্যুৎ বিভাগকে।

পদ্মা সেতুসংশ্লিষ্টরা বলছেন, কাঠামো স্টিলের হওয়ায় সেখান দিয়ে ৪০০ কেভি হাইভোল্টেজ বিদ্যুৎ লাইন টানা সম্ভব নয়। তাই মূল সেতু থেকে দুই কিলোমিটার ভাটিতে আলাদা করে সাতটি পিলার নির্মাণ করে বিদ্যুতের তার টানা হচ্ছে।

পদ্মা সেতুর পাইলিংয়ের জন্য যে শক্তিশালী হ্যামার বাংলাদেশে আনা হয়েছিল, সেটি দিয়েই বিদ্যুৎ বিভাগের জন্য এসব পিলার তৈরি করেছে সেতু বিভাগ।

পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী (মূল সেতু) দেওয়ান আব্দুল কাদের নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এই সাতটি পিলারের সবগুলোর কাজ শেষ করে ৯ জুন আমরা বিদ্যুৎ বিভাগের কাছে হস্তান্তর করেছি। তিন-চার মাস আগে আমরা পাঁচটি পিলার বিদ্যুৎ বিভাগকে হস্তান্তর করেছিলাম। সেগুলোতে ইতোমধ্যে ইস্পাতের টাওয়ার নির্মাণ শেষ করেছে বিদ্যুৎ বিভাগ।’

তিনি বলেন, ‘এই সাতটি পিলারের তিনটিতে চারটি করে আর চারটিতে ছয়টি করে মোট ৩৬টি খুঁটি নদীর তলদেশে প্রবেশ করানো হয়েছে। একটি পিলার থেকে আরেকটির দূরত্ব ৮৩০ মিটার। এসব পিলারে বসানো টাওয়ারের মাধ্যমে পদ্মা নদীর ওপর দিয়ে বিদ্যুতের তার যাবে দক্ষিণবঙ্গের দিকে।’

দেওয়ান আব্দুল কাদের বলেন, ‘পদ্মা সেতুর পাইলিংয়ের জন্য জার্মানি থেকে যে হ্যামার আনা হয়েছিল, সেটি দিয়েই এই সাতটি পিলারের ৩৬টি পাইলিংয়ের কাজ করা হয়েছে। পিলারের প্ল্যাটফর্ম থেকে টাওয়ারগুলোর উচ্চতা ১২৬ মিটার। আর নদীর তলদেশে পাইলিং করা হয়েছে অন্তত ১১০ মিটার।’

এর লাইনের মাধ্যমে রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিদ্যুৎ সরাসরি জাতীয় গ্রিডে যোগ হবে বলেও জানান তিনি।

এ বিভাগের আরো খবর