যশোর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগ সভাপতি মোস্তফা ফরিদ আহমেদ চৌধুরীকে হত্যার হুমকি দেয়ার অভিযোগে করা মামলায় ৩ আসামি জামিন পেয়েছেন।
শুনানি শেষে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় যশোর সদর সিনিয়ার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মঞ্জুরুল ইসলাম তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।
জামিনের বিষয়টি নিশ্চিত করেন আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মাহবুব সরকার লালটু।
এর আগে, মঙ্গলবার দুপুরে থানায় আটজনের নামে মামলা হয়। বিকেলে পুলিশ এ মামলার এজাহারভুক্ত তিন আসামিকে গ্রেপ্তারের পর সন্ধ্যায় আদালতে নিয়ে যান।
জামিন পাওয়া তিন আসামি হলেন— শহরের পুরাতন কসবা কাঁঠালতলা এলাকার ৪৫ বছরের বাবুল, ৪০ বছরের নূরনবী ও ৩৫ বছরের তাপস।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন— শহরের কাজীপাড়ার তৌহিদ চাকলাদার ৪৫ বছরের ফন্টু, লোন অফিসপাড়ার ৪০ বছরের আশিকুল ইসলাম বাঁধন, ৩২ বছরের কাজীপাড়ার তেঁতুলতলার রওশন ইকবাল শাহী, রেলগেট তেঁতুলতলার ২৫ বছরের ফাহমিদ ও ৩০ বছরের কাজীপাড়ার মেহেদী হাসান রনি।
যশোর কোতয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম বলেন, ‘২৭ জুন রাত আড়াইটার দিকে মোস্তফা ফরিদ আহমেদ চৌধুরীর শহরের খালধার রোডের বাড়ির সামনে গিয়ে সন্ত্রাসীরা গালিগালাজ করে ও হত্যার হুমকি দেয়। এ ঘটনায় উপজেলা চেয়ারম্যান থানায় অভিযোগ করেন।
‘অভিযোগটি মঙ্গলবার মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছে। মামলা রেকর্ড হবার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ডিবি ও থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের পরপরই পুলিশ তিনজনকে আদালতে পাঠায়।’
যা বলা হয়েছে এজাহারে
মোস্তফা ফরিদ আহমেদ চৌধুরী উল্লেখ করেন, আসামি ফন্টুর অপরাধ কর্মকাণ্ডের বিরোধিতা করায় তার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে মেরে ফেলার পাঁয়তারা করে আসছেন। একই কারণে তারা দুটি গাড়িতে করে তার বাড়ির সামনে এসে গালিগালাজ করতে থাকেন।
ওই সময় তিনি ঘর হতে বের হয়ে এলে সন্ত্রাসীরা তাকে খুন করে লাশ গুম করার হুমকি দিয়ে চলে যায়। কিছুক্ষণ পর গাড়ি দুটি ফের তার বাড়ির সামনে এসে ওই সন্ত্রাসীরা তাকে ‘শাহীন চাকলাদারের রাজনৈতিক বাধা’ উল্লেখ করে খুনের হুমকি দিয়ে বলে যে, পথ পরিষ্কার করে ফেলব।
খবর পেয়ে পুলিশের টহল গাড়ি এলে সন্ত্রাসীরা দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে চলে যায়।