ভয়াবহ বন্যার মুখোমুখি হয়েছে সিলেটবাসী। কয়েকদিন ধরে পানি নামতে শুরু করলেও এখনও অনেক এলাকা পানিবন্দি।
এরই মধ্যে মঙ্গলবার থেকে সিলেটে আবারও শুরু হয়েছে বৃষ্টি। এতে নগরবাসীর মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
১৫ জুন থেকে সিলেটে বন্যা দেখা দেয়। যা এখনও অব্যাহত রয়েছে। বন্যায় তলিয়ে যায় জেলার ৮০ শতাংশ এলাকা।
সিলেটে টানা বৃষ্টির পর গত পাঁচ দিনে রোদ ছিল। এতে কমতে শুরু করে নদ-নদীর পানি। তবে মঙ্গলবার সকাল থেকে আবার বৃষ্টি শুরু হয়। সকালে একপশলা বৃষ্টি হয়। আর সন্ধ্যার পর থেকে নগরজুড়ে মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আগামী কয়েক দিন সিলেটে বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা বলছেন, সিলেটে বৃষ্টি হলেও পানি তেমন বাড়বে না। তবে মেঘালয় ও আসাম থেকে ঢল নামলে ফের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে।
নগরের মণিপুরী রাজবাড়ি এলাকার বাসিন্দা আইনজীবী দেবব্রত চৌধুরী লিটনের বাসায় ৮ দিন পানি ছিলে। পানি নামায় সোমবার থেকে ঘর পরিষ্কারের কাজ শুরু করেন তিনি।
মঙ্গলবার রাতে তিনি বলেন, ‘বৃষ্টিতে আবার মনে হচ্ছে পানি বাড়ছে। সকালেও আমার পাড়ার যে জায়গা শুকনো ছিলে, এখন সে জায়গায় পানি জমে গেছে।
‘বন্যায় ঘরের বেশিরভাগ আসবাবপত্র নষ্ট হয়ে গেছে। এখন ঘর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করছি। এখন আবার ঘরে পানি ঢুকলে আমাদের পথে বসতে হবে।’
মঙ্গলবার পানি কিছুটা কমেছে বলে জানিয়েছেন সিলেটের পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী এ কে এম নিলয় পাশা। বলেন, ‘সোমবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে ৭ সেন্টিমিটার ও সিলেট পয়েন্টে ৮ সেন্টিমটার কমেছে।
‘একই সময়ে কুশিয়ারা নদীর পানি অমলসীদ পয়েন্টে ২১ সেন্টিমটার, শেওলা পয়েন্টে ৯ সেন্টিমটার, শেরপুর পয়েন্টে ৩ সেন্টিমিটার ও ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে ২ সেন্টিমিটার কমেছে।’
নিলয় পাশা বলেন, ‘সিলেটে বৃষ্টি হলেও পানি বাড়ার শঙ্কা নেই। কিন্তু ভারতে বৃষ্টি হলে সিলেটে পাহাড়ি ঢল নামতে পারে। এতে ফের বন্যার অবনতি হওয়ার শঙ্কা আছে।’
সিলেটের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ সাঈদ আহমদ চৌধুরী বলেন, ‘চলতি সপ্তাহে সিলেটে হালকা থেকে ভারি বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে।’