প্রায় ১ হাজার ৮০০ কোটি টাকার কোরবানির পশু প্রস্তুত করেছে মেহেরপুরের পশু পালন করা চাষি ও ৩০ হাজার খামারি।
পশু পালন করা সংশ্লিষ্টদের দাবি, পশু খাদ্যের দাম বাড়ায় খরচ বেড়েছে পালনে। প্রাণিসম্পদ বিভাগ বলছে, ঘাস চাষ করায় গো খাদ্যের দাম বৃদ্ধিতে তেমন প্রভাব পড়ছে না জেলায়।
মেহেরপুরে ছোটবড় ৩০ হাজার খামারিসহ পারিবারিকভাবে অনেকেই কোরবানির পশু লালনপালন করে লাভবান হচ্ছেন। অন্য কাজের পাশাপাশি বাড়ির আঙিনায় পশু পালন করছেন অনেকেই।
স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে এখানকার ৬০ থেকে ৭০ ভাগ পশু চলে যাবে ঢাকাসহ দেশের বড় শহরে।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা সাইদুর রহমান জানান, এবার ২ লাখ ৭৭ হাজার ৫৯০ পশু কোরবানির জন্য প্রস্তুত করেছেন খামারিরা। পশুর আকার ভেদে দাম ধরা হয়েছে ১ লাখ থেকে ৪ লাখ টাকা পর্যন্ত।
তিনি জানান, এর মধ্যে গরু আছে ৪৮ হাজার ১৬৭টি, ছাগল আছে ১ লাখ ২৬ হাজার ৬৯টি। মহিষ আছে ৫৮২টি ও ভেড়া ২ হাজার ৭৭২টি। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ধরা হয়েছে ১ হাজার ৮০০ কোটি টাকা।
গরু পালন করা রিপন হোসেন বলেন, ‘আমরা প্রতি বছর গরু পালন করে থাকি। এ বছর খাদ্যের দাম অনেক বেশি। ছাল, ভুসি ও ছোলার দাম বেশি তাই এবার কোরবানির পশুর দাম একটু বেশি হবে।’
বালিয়াঘাট গ্রামের নিফাজ উদ্দিন বলেন, ‘গরু পালন করি কোরবানিতে বিক্রির জন্য। ঘাস, পাতা খাওয়ালেই হয়ে যায়। বাইরের খাবার দেয়া লাগে না। তা ছাড়া গো-খাদ্যের দামও বেশি। নিজেদের ঘাসে হয়ে যায়।’
গরু খামারি আবু বক্কর বলেন, ‘পশু খাদ্যের যে দাম বেড়েছে তা কিনে পশু পালন করা সম্ভব না। জমিতে সবুজ ঘাস আর খড় দিয়ে গরু মোটাতাজা হয়েছে। এবারে ভালো দামে বিক্রি করতে পারব।’
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এখানে সবুজ ঘাস চাষ করে কোরবানির পশু লালনপালন করে থাকেন খামারিরা। অনেকে পশু খাদ্যের দাম বৃদ্ধির কথা বলছে, কিন্তু দাম বৃদ্ধির প্রভাব মেহেরপুরে পড়ছে না। কারণ, এখানে সবুজ ঘাস পর্যাপ্ত চাষ হচ্ছে। দানাদার খাদ্যের খাদ্যের ঘাটতি মেটাতে সবুজ ঘাস দিয়ে গবাদি পশু পালন করছে।’