এবারের ঈদুল আযহার অন্যতম আকর্ষণ সাতক্ষীরার সম্রাট। যার ওজন প্রায় ১ হাজার ৪০০ কেজি (প্রায় ৩৫ মণ)। দাম ধরা হয়েছে ৪০ লাখ টাকা।
খামারি আব্দুল আলিম ৩ বছর ধরে ফ্রিজিয়ান জাতের ষাঁড়টি লালন-পালন করেছেন। আদর করে নাম রেখেছেন সম্রাট।
ষাঁড়টিকে হাটে তোলার জন্য গোয়াল থেকে বের করতে হয়েছে দেয়াল কেটে। প্রতিদিন উৎসুক মানুষ পশু সম্রাটকে দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন কৃষক আব্দুল আলিমের বাড়িতে।
খামারি আব্দুল আলিম সাতক্ষীরা জেলার পাটকেলঘাটা থানার চৌগাছা গ্রামের বাসিন্দা।
তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘২০১৮ সালের জুন মাসে ৬০ হাজার টাকা দিয়ে ফ্রিজিয়ান জাতের একটি গরু কিনি। ৩ বছর ধরে ষাঁড়টিকে ঘাস, খোল, কুড়া, ভুসি, কলা, মাল্টাসহ বিভিন্ন ফল-ফলাদি খাইয়ে স্বাস্থ্যসম্মতভাবে লালন-পালন করে নিজ সন্তানের মতো কষ্ট করে বড় করেছি।
‘আমার স্বপ্ন ছিল পশুটিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে কোরবানি করব। আদরের পশু সম্রাটকে লালন-পালন করতে আমার অনেক অর্থ ব্যয় হয়েছে। সম্রাটকে বড় করতে অনেক টাকা ঋণ করেছি। যে কারণে আমার পক্ষে ষাড়টিকে বঙ্গবন্ধুর নামে কোরবানি করা সম্ভব হয়ে ওঠছে না। ঋণের টাকা পরিশোধ করতেই কোরবানির হাটে বিক্রি করতে হচ্ছে সম্রাটকে।’
ষাঁড়টি নির্ধারিত দামের চেয়ে কম বা বেশিতে বিক্রি হতে পারে জানিয়ে আব্দুল আলিম বলেন, ‘দাম কোনো বিষয় নয়। মুখ্য বিষয় হলো, যদি সমাজের বিত্তবান ব্যক্তি কিংবা বঙ্গবন্ধু প্রেমিক এই গরু কিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে কোরবানি দেন, তাহলে তার মনের বাসনা পূরণ হবে। সাতক্ষীরার কোরবানির হাটে যেসব গরু উঠছে তার মধ্যে সম্রাট এখনও সবচেয়ে বড় গরু।’
সাতক্ষীরা উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা কৃষিবিদ নাজমুস সাকিব জানান, জেলায় ৯ হাজার ৯৩০টি খামারে ষাঁড়, বলদ, গাভি, ভেড়া, মহিষ ও ছাগলসহ মোট ১ লাখ ৮ হাজার ৫টি পশু স্বাস্থ্যসম্মতভাবে কোরবানির জন্য প্রস্তুত করেছেন কৃষকরা।
এর মধ্যে সাতক্ষীরায় কোরবানির হাট কাঁপাবে পাটকেলঘাটা থানার চৌগাছা গ্রামের সম্রাট। হাতির মতো আকৃতির ৩৫ মণ ওজনের এই ষাঁড়ের দাম হাকানো হয়েছে ৪০ লাখ টাকা।