বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চবির শাটল ট্রেনে ‘ধর্ষণচেষ্টায়’ গ্রেপ্তার

  •    
  • ২৮ জুন, ২০২২ ২০:০৯

চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাজিম উদ্দিন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এ ঘটনায় ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মামলা হয়েছে। আমরা আসামিকে গ্রেপ্তার করেছি।’

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শাটল ট্রেনে এক ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে রেলওয়ের থানা পুলিশ।

মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে বলে রেলওয়ের থানায় মামলা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের ওই ছাত্রী।

চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাজিম উদ্দিন নিউজবাংলাকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গ্রেপ্তার ৪৫ বছরের ওই ব্যক্তির নাম মো. বাবুল হোসেন।

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী ছাত্রী। তাতে তিনি জানিয়েছেন, থানায় গেলে পুলিশ ‘মান-সম্মানের’ কথা ভেবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানাতে মানা করে।

ওই অভিযোগপত্রে তিনি জানান, সকালে শাটল ট্রেনের দ্বিতীয় বগিতে তিনি ও বাবুল ছাড়াও আরও দুজন ছিলেন। ওই দুজন ঘুমিয়ে ছিলেন। তখন বাবুল তার কাছে এগিয়ে গেলে তিনি ৯৯৯- এ কল দেন। সংযোগ না পেয়ে এক সহপাঠীকেও কল দেন। এর মধ্যেই বাবুল তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। তিনি চিৎকার করলে বাবুল দৌঁড়ে পালিয়ে যান। এর মধ্যে ঘুমিয়ে থাকা দুই আরোহী জেগে উঠে বিষয়টি বুঝতে পারেন ও বাবুলকে ধরতে যান। ততক্ষণে বাবুল নেমে যান ট্রেন থেকে।

অভিযোগপত্রে ওই তরুণী লিখেছেন, ‘আমি লোকটিকে ধরতে চিৎকার করতে থাকি। স্টেশনে অবস্থানরত একজন আমাকে জানান যে লোকটিকে ৮ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ধরা হয়েছে। পরে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮টার ট্রেনের প্ল্যাটফর্মের সামনে আনা হয়।

‘এ সময় লোকটিকে রেলওয়ে পুলিশের লোকজন মারধর করে। আমি ভিডিও ধারণ করার সময় পুলিশ আমাকে বাঁধা দেয়। তারপর লোকটিকে রেলওয়ে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। থানায় কর্মরত কোনো অফিসার ছিল না। তাদের ফোন করে আনা হয়।’

ওই তরুণীর অভিযোগ, থানায় যাওয়ার পর পুলিশ তাকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা না করতে পরামর্শ দেয়।

তিনি প্রক্টরকে দেয়া অভিযোগপত্রে লেখেন, ‘পুলিশ আমার লিখিত অভিযোগ গ্রহণ করবে বলে আমার নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর জিজ্ঞেস করে। এরপর পুলিশ আমাকে ঘটনাটির ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানাতে নিষেধ করে।

‘পুলিশের ভাষ্যমতে, এতে আমার মানহানি হতে পারে। এই ব্যাপারে আমার সিক্রেসি মেন্টেইন করা উচিত। এটা আমার মান-সম্মানের ব্যাপার। তারপর তারা আমাকে এজাহার করে যেতে বলে। কিন্তু পরবর্তীতে আমার লিখিত অভিযোগে স্বাক্ষর নেয়নি। আমি একই দিনে অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যানকে বিষয়টি অবগত করি।’

চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাজিম উদ্দিন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এ ঘটনায় ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মামলা হয়েছে। আমরা আসামিকে গ্রেপ্তার করেছি।’

ভিডিও ধারণে বাধা দেয়া ও ঘটনা গোপন রাখতে বলার অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ওটার কী উত্তর দেব? ভুক্তভোগী আপনাকে কী বলছে, সেটা কী লিখবেন আপনি জানেন। সেটা আমাকে বলে লাভ নাই। আমাদের বিরুদ্ধে তো সবাই বলে। কতজনই তো বলে।’

চবির অর্থনীতি বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মোদাব্বের আহমেদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমার কাছে মেয়েটা অভিযোগ নিয়ে এসেছিল। আমি প্রক্টরকে লিখিত অভিযোগ দিতে বলেছি। আমাকেও একটা কপি দিয়েছে। বাকি আইনি ব্যবস্থা আমি করে দিছি।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভুঁইয়া বলেন, ‘ভুক্তভোগী দুপুরে এসেছিল। আমরা রেলওয়ে থানার এসপিকে জানিয়েছি। থানা থেকে আমাকে কনফার্ম করেছে একজনকে এরেস্ট করা হয়েছে।’

এ বিভাগের আরো খবর