বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিএনপি যাই বলুক নির্বাচনে আসবে, ভোট ইভিএমে হোক: কাদের

  •    
  • ২৮ জুন, ২০২২ ১৮:৪০

‘তারা (বিএনপি) অনেক কথাই বলে, শেষ পর্যন্ত আসল কথায় চলে আসে। আমি একটা কথা বলি, নির্বাচন, নির্বাচনে অংশগ্রহণ এটা বিএনপির অধিকার। সরকারের সুযোগ বিতরণ না। এটা একটা সুযোগ নয় যে, সরকার বিতরণ করবে। এটা হচ্ছে বিএনপির অধিকার। দল হিসেবে গণতন্ত্রে বিশ্বাস করলে নির্বাচনে তারা আসবে, আমরা এটাই বিশ্বাস করি।’

আগামী জাতীয় নির্বাচনে বিএনপিকে চান বলে জানিয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বিশ্বাস করেন, বিএনপি এখন না করলেও শেষ পর্যন্ত ভোটে আসবে।

মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ইভিএম নিয়ে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এমন মন্তব্য করেন।

নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের দাবিতে ২০১৪ সালের দশম সংসদ নির্বাচন বর্জন করা বিএনপি ২০১৮ সালের একাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নিলেও আগামী নির্বাচনে তাদের অংশগ্রহণ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

বিএনপি আবার নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের দাবিতে ফিরে গেছে এবং বলছে, বর্তমান সরকারের অধীনে ভোট হলে তারা সেই নির্বাচনে অংশ নেবে না।

ওবায়দুল কাদের অবশ্য মনে করেন বিএনপি এই অবস্থানে থাকবে না। তিনি বলেন, ‘তারা (বিএনপি) অনেক কথাই বলে, শেষ পর্যন্ত আসল কথায় চলে আসে। আমি একটা কথা বলি, নির্বাচন, নির্বাচনে অংশগ্রহণ এটা বিএনপির অধিকার। সরকারের সুযোগ বিতরণ না। এটা একটা সুযোগ নয় যে, সরকার বিতরণ করবে। এটা হচ্ছে বিএনপির অধিকার। দল হিসেবে গণতন্ত্রে বিশ্বাস করলে নির্বাচনে তারা আসবে, আমরা এটাই বিশ্বাস করি।’

বিএনপির মতো একটা বড় দল বাইরে থাকবে এটা চান না বলেও জানিয়ে রাখলেন ক্ষমতাসীন দলের নেতা।

তিনি বলেন, ‘আমরা পদ্মা সেতুতেও (বিএনপিকে) দাওয়াত দিয়েছি। দেখেন আমাদের একটা পজেটিভ এটিচিউড আছে। সে কারণে আমরা তাই করি। তারা (বিএনপি) নিজেরাই নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেবে। হয়তো শেষ বেলায়। ঘোলা করে খাবে আরকি।’

ভোট বর্জনের আগাম ঘোষণা নিয়ে কাদের বলেন, ‘আমি অবাক হয়ে শুনি ফখরুল সাহেব বলেন এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাব না। ইলেকশন তো এই সরকারের অধীনে হবে না। ইলেকশন হবে ইলেকশন কমিশনের অধীনে। সরকার একটা কর্তৃত্বপূর্ণ স্বাধীন ভূমিকা ফর ক্রেডিবল, ফেয়ার অ্যান্ড ফ্রি ইলেকশন। যে যে সহযোগিতা, ফ্যাসিলিটিজ দরকার, সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস আমরা আগেও দিয়েছি, এখনো আমরা নির্বাচন কমিশনকে আশ্বাস দিয়েছি। আমরা সব ধরনের সহযোগিতা করব।’

নির্বাচনকালীন সরকার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘পৃথিবীর অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশে যেভাবে হয়, বাংলাদেশেও শেখ হাসিনার সরকার সেটাই অনুসরণ করবে।’

বিতর্কিত কাউকে পর্যবেক্ষক হিসেবে নিয়োগ না দেয়া, প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের রিটার্নিং অফিসার থেকে পোলিং অফিসার নিয়োগসহ একগুচ্ছ দাবির কথাও বলেন ক্ষমতাসীন দলের নেতা।

৩০০ আসনেও ইভিএমে আপত্তি নেই

নির্বাচন কমিশনের এই সংলাপের উদ্দেশ্য হচ্ছে আগামী জাতীয় নির্বাচনে ভোট গ্রহণে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন বা ইভিএম ব্যবহার নিয়ে দলগুলোর মনোভাব জানা।

আওয়ামী লীগ শুরু থেকেই ইভিএমের পক্ষে বলে আসছে, ওবায়দুল কাদের যেই অবস্থানের কথা আবার তুলে ধরলেন।

তিনি বলেন, ‘ইভিএমের ব্যাপারে আমরা অত্যন্ত পরিস্কার এবং স্পষ্ট। মন থেকে চাই, চেতনা থেকে চাই। ৩০০ আসনে ইভিএম হলে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। আমরা সাপোর্ট করি।’

‘আজকে যে রাজনৈতিক দলগুলো এখানে আসছে, আমার মনে হয় অধিকাংশই ইভিএমের পক্ষে বলেছে। ইভিএম নিয়ে বিরুদ্ধেও বলেছেন দুয়েকজন। এটা তো গণতন্ত্র। বিউটি অব ডেমোক্রেসি। বিরুদ্ধে তো বলবেই। ভিন্নমত থাকতেই পারে। সেটা তো কোনো অসুবিধা নেই।’

৩০০ আসনে নির্বাচন করতে কি ইসি সক্ষম?- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘দ্যাট ইজ দ্যা ডিসিশন অব ইলেকশন কমিশন। এটা তাদের এখতিয়ার।’

ভোটারদের মধ্যে ইভিএমের জনপ্রিয়তা আছে বলেও মনে করেন আওয়ামী লীগ নেতা। বলেন, ‘আমরা যখন দেখেছি একটা ইউনিয়নের ইলেকশনে রাজশাহীর একটা ইউনিয়ন একেবারে প্রত্যন্ত অঞ্চলের, সেখানে দিনের আলোও ঠিক মতো যায় না। ঠিক এই রকম একটা জায়গাতেও তো ইভিএমে ইলেকশন হয়েছে। অংশগ্রহণ ছিল বিশ্বাসযোগ্য না এ রকম। প্রচুর উপস্থিতি এবং মহিলারা পর্যন্ত লম্বা লাইন দিয়ে ভোট দিয়েছে। কাজেই ইভিএম অজনপ্রিয় এ কথা বলার আর এখন কোনো প্রয়োজন নেই।’

সংলাপে ১৪ টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোকে আমন্ত্রন জানানো হলেও চারটি আসেনি। বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি, এলডিপি, বিপ্লবী ওয়াকার্স পার্টি এবং বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল বাসদ আলোচনায় আসেনি।

আওয়ামী লীগ ছাড়াও অংশ নেয় তরিকত ফেডারেশন, সাম্যবাদী দল-এমএল, গণতন্ত্রী পার্টি, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, বিকল্প ধারা, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ, বাংলাদেশ ন্যাপ, সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট ও গণফোরাম।

তিন দফার বৈঠকে ৩৯ নিবন্ধিত দলকে আমন্ত্রণ জানায় নির্বাচন কমিশন। এদের মধ্যে ২৮ টি উপস্থিত হয় সংলাপে।

এ বিভাগের আরো খবর